জিলহজের প্রথম দশকে

ধর্ম ডেস্ক: আরবি জিলহজ খুবই ফজিলতপূর্ণ মাস। এ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোজা রাখা আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত তথা নফল নামাজ, কোরান তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, তওবা-ইস্তেগফার ইত্যাদির মাধ্যমে রাত কাটানো। এর অনেক ফজিলত। হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদত তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায় তিরমিজি শরিফ। আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অন্য দিনের আমল প্রিয় নয় বোখারি শরিফ। জিলহজ মাসের অন্যতম আমল হলো ১০ তারিখে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করা। যারা কোরবানি করার ইচ্ছা করেছেন, তারা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম ইত্যাদি কাটবেন না যদি এগুলো ৪০ দিন না হয়ে থাকে। আর ৪০ দিনের বেশি হয়ে থাকলে এসব কেটে ফেলা আবশ্যক। নতুবা ১০ দিন পর কোরবানির পর এসব পরিষ্কার করবে। এ কাজটি সুন্নত। আর যারা হজে যাননি, তাদের জন্য জিলহজ মাসের নয় তারিখ রোজা রাখা সুন্নত। তবে যারা হজব্রত পালনে আছেন তাদের জন্য এদিন রোজা রাখা জায়েজ নয়। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের অন্য আমলের মাঝে রয়েছে, জিলহজ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার তাকবির বলা। এটা ওয়াজিব। পুরুষের জন্য আওয়াজ করে, আর মহিলাদের জন্য নীরবে। তাকবির হলো আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ঈদের দিনের সবচে বড় আমল হলো ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করা। ঈদের দিন কোরবানি করতে না পারলে জিলহজ মাসের ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করার অবকাশ রয়েছে। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর এ বিধান প্রযোজ্য। কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও অন্যভাগ দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা মোস্তাহাব।