ওয়াসিম রয়েল: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বেগমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সুবোধপুরপাড়ার মৃত তালেব আলী মন্ডলের স্ত্রী করিমন নেছা ১১৬ বছর বয়সী হতদরিদ্র বৃদ্ধা। মানবেতর জীবনযাপন করছে দেখার কেউ নেই। খবর পেয়ে ছুটে যায় করিমন নেছার বাড়িতে। খড়ের চালের মাটির ঘরের বারান্দাই শুয়ে থাকা করিমন নেছা চোখে দেখতে পারে, কথা বলতে পারে আবার কানেও শুনতে পারে। হাস্যকর হলেও সত্য ১১৬বছর বয়সী করিমন নেছার মুখের সবকটি দাত পড়ে যেয়ে নতুন করে ২টি ছোট ছোট দাত উঠেছে। বাড়িতে ঢুকতেই স্পষ্ট ভাষায় জিজ্ঞাসা করে আপনি কে? আমি পরিচয় দিয়ে বলে আমি দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার সাংবাদিক। পারিবারিক সুত্রে জানা যায় দীর্ঘ ১৪বছর তিনি বিছানাগত চলা ফেরার মত শক্তি নেই। তবে দেখতে পারেন, শুনতে পারেন ও বলতেপারেন। দারিদ্রতার কঠিন শিকলে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বাধা। দিনমুজুর করে কোন রকমে চলে যায়। সরকারী বিভিন্ন সাহায্যের কথা বলতেই তিনি বললেন আমার ভোট নেই তাই আমার কেউ কিছু দেয় না। ১১৬ বছর বয়সী করিমন নেছার ভোট না থাকার রহস্য জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা বলেন যখন জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য সরকারীভাবে ছবি তোলা হয় তখন তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। এ বিষয়ে এলাকার একজন রাজনীতিবিদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি জানি সরকারী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধাই (বৃদ্ধভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, হতদরিদ্রদের ১০টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ) তালিকায় তার নাম প্রকাশ করা হয়। কিন্তু কতিপয় কয়েকজন আ:লীগ নেতা দলের প্রভাব খাটিয়ে প্রত্যেক তালিকা থেকে করিমন নেছার মত অনেক হতদরিদ্রদের নাম বাদ দিয়ে আত্মীয়করন করে সেই সময়। সরকার যখন দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। ঠিক সেই সময়ে এক শ্রেণীর অসাধু রাজনীতিবিদরা সরকারী পদক্ষেপকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ করছে বলে এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা সময়ের সমীকরণকে জানান।