জনগণের সেবা প্রদানে এ কার্যক্রম সর্বদা সচেষ্ট থাকবে

জুড়ানপুর ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে সিনিয়র এএসপি আবু রাসেল
রোকনুজ্জামান রোকন/মোজাম্মেল শিশির:
পুলিশকে গণমুখী ও জনবান্ধব করার জন্য দামুড়হুদা থানার জুড়ানপুর ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিটে দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবু রাসেল দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল খালেক জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, পুলিশকে গণমুখী ও জনবান্ধব করার জন্য চুয়াডাঙ্গার পাঁচটি থানায় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রম মনিটরিং, তদারকির জন্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কো-অপারেট করবেন। ভৌগোলিক দূরত্ব ও সুনির্দিষ্ট কাঠামোবদ্ধ কর্মসূচির অভাবে অনেক ক্ষেত্রে জনগণ পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়, পুলিশের প্রতি একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। তাই পুলিশ-জনতা সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য, প্রতিটি নাগরিকের পুলিশের সেবাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি শ্রদ্ধেয় ড. বেনজীর আহমেদ স্যারের আদেশ অনুযায়ী, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিট পুলিশিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলো।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ যেমন- বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শিক্ষার্থীদের যৌন নিপিড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, মাদক প্রতিরোধ ও মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে সহযোগিতা করা, স্থানীয় বিবাদ-মীমাংসা (অধর্তব্য অপরাধ) নিরসন করে জনগণের সেবা প্রদানে বিট পুলিশিং কার্যক্রম সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। প্রত্যন্ত এলাকাতে পুলিশের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে পুলিশের সেবা গতিশীল করা; যেন গ্রাম্য দালালচক্র ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি না পায়।