ঈশ্বরচন্দ্রপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত শহিদুলের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন
দর্শনা অফিস:
দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত শহিদুল ইসলামের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে শহিদুলের লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গতকাল বাদ জোহর গ্রামের বড় মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে বেদনাবিধুর পরিবেশে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা নিহত শহিদুলের লাশ নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্রপুরে পৌঁছালে গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ শহিদুলেকে শেষবার দেখতে ভিড় জমায়। এসময় পরিবার ও স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে আসামিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও কোনো আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
ময়ন্তদন্তের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নিহতের লাশের ময়ন্তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের মাধ্যমে জানানো হবে।’
এবিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান কাজল জানান, নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুন চুমকি বাদী হয়ে হত্যাকারী সুজনকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা ও আসামি গ্রেপ্তারের স্বার্থে অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামি ধরতে পুলিশে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। গ্রামে নতুন করে কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে অতিদ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে বলেও জানান তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত শহিদুলের ছেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
