জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চুয়াডাঙ্গায় অনিক জোয়ার্দ্দার ও মোহাম্মদ জানিফের নের্তৃত্বে ভিডিও কনফারেন্সে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব স্মরণে ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় যুক্ত হন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্জের পরিচালনায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে ছাত্র সমাজের প্রতি বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগ আগামী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গুম, খুনের শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে। ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ নিতে যায়নি। বরং কাজ করেছে দেশের স্বনির্ভরতা অর্জনে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতই গলাবাজি করুক সত্যকে তারা চাপা দেবে কীভাবে? ১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়া সবরকমের সহযোগিতা করেছে। খুনিদের এগিয়ে যেতে বলেছে। কাজেই বিএনপি এটা অস্বীকার করতে পারে না। তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের পাশে থাকতে হবে বিপদে-আপদে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ধান কাটার সময় তোমরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ধান কেটে তাদের ঘরে পৌঁছে দিয়েছ, এ জন্য তোমাদের ধন্যবাদ। এ জন্য আমি খুব আনন্দিত। সারা দেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোনো কাজই অবহেলা নয়, এটা তারা প্রমাণ করেছে। বন্যার সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই ছাত্রলীগ কর্মীরা সহযোগিতা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ করোনাকালে লাশ দাফন করছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করছে। যারা হাত পেতে সাহায্য চাইতে পারে না ছাত্রলীগের কর্মীরা গোপনে গিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছে। এভাবেই তোমাদের কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নেবে। তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগে মাত্র একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমরা আরও কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। কৃষির ওপর গবেষণার জন্য আমরা আলাদা বরাদ্দ রেখেছি। সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, সারা দেশেল ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় যুক্ত হন। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের নের্তৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বড় পর্দায় প্রজেক্টটরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতা-কর্মীরা যুক্ত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. সাহাবুল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, সাবেক সহ-সম্পাদক বাপ্পি, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, জেলা ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা অয়ন হাসান জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগের নেতা বরকত জোয়ার্দ্দার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ, সাবেক স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান হিমেল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসি হাসান রাজিব, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শাকিল আহম্মেদ জিম, ছাত্রনেতা তানভির আহম্মেদ সোহেল, সদর থানা ছাত্রলীগের নেতা রেদওয়ান আহম্মেদ রানা, মোমিন, জান্নাত, টোকন, পৌর ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল আকাশ, রামিম, তাজ, মেরাজ, স্বাধীন, অভি, মিঠুন, হাসিবুল, নাজিবুল, তুহিন, দিপু, হারুন, যুবলীগ নেতা সাইদ, ফিট্টু মুন্সি প্রমুখ।
অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নের্তৃত্বে কেদারগঞ্জস্থ জেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক সজল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা রাকিবুল হাসান নিপ্পন, শেখ শাওন, আরেফিন সজীব, রাকিব, সুমন, জাহিদ, শাহেদ, লিখন, সাব্বির, সোহাগ, ইমনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।