মেহেরপুরের গাংনী তোফাজ্জেল হোসেন (৪৮) নামের এক ছাগল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাংনী উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠ থেকে তোফাজ্জেল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত রোববার রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে মাঠের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। নিহত ছাগল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন হরিরামপুর গ্রামের মৃত বক্স বিশ্বাসের ছেলে।
এদিকে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে লিটন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক লিটন তেরোঘরিয়া গ্রামের আসাদ আলী ছেলে ও হরিরামপুর গ্রামের হাসমত আলীর জামাতা এবং নিহত তোফাজ্জেলের ব্যবসায়ীক পার্টনার।
নিহতের স্ত্রী মনিতাজ খাতুন জানান, তার স্বামী একজন ছাগল ব্যবসায়ী। দুপুরে ব্যবসা শেষ করে তার নিজের ৪টি মহিষ নিয়ে মাঠে চড়িয়ে বেড়ান তিনি। রোববার দুপুরে মহিষ চড়িয়ে সে বাড়ি ফেরে। পরে কুলবাড়িয়া গ্রামে তার মামার বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে রাত ৯টার দিকে গ্রামের শরিফ উদ্দীনের সাথে দেখা করতে যায় তোফাজ্জেল। শরিফ উদ্দীনের মেয়ের বিয়ের ঘটকালিও করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর শরিফ উদ্দীনের মেয়ে অন্য এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে চলে যায়। এবিষয়ে কথা বলতেই শরিফের বাড়ির দিকে যায় সে। এসময় তার কাছে ৫০ হাজার টাকাও ছিলো। রাতে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে পরিবারের সকলে মিলে তাকে খুঁজতে বের হয়। ভোরে শরিফের বাড়ি গেলেও তার সন্ধান মেলেনি।’
এদিকে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠে তোফাজ্জেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তোফাজ্জেলের মুখ ও শরীর ক্ষতবিক্ষত ছিলো। পুলিশের ধারণা ইট দিয়ে আঘাত করে তার মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ দারা খাঁন জানান, ‘বেলা ১১টার দিকে হরিরামপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠ থেকে তোফাজ্জেল হোসেনের লাশ উদ্ধা করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে কেউ হয়তো তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। নিহতের মুখ থ্যাতলানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে আটকে জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটকও করা হয়েছে।’