মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানুলা হস্তান্তরকালে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
ডা. শামীম কবির জানালেন, কিডনি ডায়ালাইসিস ওয়ার্ড ও সেন্ট্রাল বর্জ্য ব্যবস্থার কাজ অতিদ্রুত শুরু হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দুটি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হবে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আমরা বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সদর হাসপাতালের জন্য আইসিইউ বেডের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এমনকি প্রত্যেক সপ্তাহের রিপোর্টেও আমি আইসিইউ বেডের জন্য বারবার লিখেছি। আসলে অনেক ছোট জেলা বলে আইসিইউ বেড বরাদ্দ ছিল না। আমাদের বার বার তাগিদের ফলে মন্ত্রণালয় আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। অতিদ্রুতই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ বেড স্থাপনের কাজ শুরু হবে। গতকাল সোমবার দুপুর একটায় চুয়াডাঙ্গার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানুলা (ঈচঅচ ঠবহঃরষধঃড়ৎ) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরকালে তিনি এসব বলেন। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী চিন্তা করেন। তিনি সকলের দিকে খেয়াল রাখেন। চুয়ডাঙ্গার মতো ছোট জেলার ক্ষেত্রে হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানুলা কেনাটা চিল অনেক কষ্টকর। সেটিও তিনি মনে রেখেছেন। তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই।’
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবনে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের কাজ অতিদ্রুত শুরু হবে। যার টেন্ডার ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এটি হয়ে গেলে, সরাসরি অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া যাবে। তা ছাড়া ৪৪টি বড় সিলিন্ডারের ব্যবস্থাও বর্তমানে আছে। যেগুলো দিয়ে প্লান্ট স্থাপন না হলেও অক্সিজেন সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য আরও দুটি সুখবর আছে। একটি অতিদ্রুতই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৮ বেডের কিডনি ডায়ালাইসিস ওয়ার্ড স্থাপন করা হবে। আরেকটি হচ্ছে হাসপাতালের সেন্ট্রাল বর্জ্য ব্যবস্থা শোধনাগার স্থাপনের কাজও অতিদ্রুতই শুরু হবে।’
হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানুলা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ ইয়া খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, জেলা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার পপি খাতুন, এনডিসি আমজাদ হোসেন, সহকারি কমিশনার শিবানী সরকার, জান্নাতুল ফেরদৌস, সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহরাব হোসেন প্রমুখ।