ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধনকালে হুইপ ছেলুন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪০১ বার পড়া হয়েছে

পরিষ্কার পরিছন্নতায় শতভাগ এগিয়ে সদর হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি হাসপাতালের কথা উঠলেই অনেকের মনে নেতিবাচক একটা ধারণা আসে। নোংরা-আবর্জনার ছড়াছড়ি, নাক চেপে চলাফেরা ইত্যাদি যেন সরকারি হাসপাতালের অংশ। এমন পরিবেশের বাইরে ছিলো না চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালও। ময়লা-আবর্জনা, হকার-দালালের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে রোগীর ভোগান্তিই ছিলো বেশি। তবে সরকারি হাসপাতালের এমন চিরচেনা জঞ্জালময় পরিবেশ থেকে নিজেদের বের করে এনেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় শতভভাগ সফলতা অর্জন করেছে হাসপাতালটি।
গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শামিম কবিরের উদ্যোগে হাসপাতালে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। এসময় তিনি সদর হাসপাতালের ভিতরে পরিদর্শন করেন এবং পরিষ্কার পরিছন্নতার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড চালু হওয়ায় সুবিধা পাবেন রোগীরা। দুর্ভোগ কমবে স্বজনদের। পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড সেলে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন কয়েদি হাজতি, সন্ত্রাসীসহ পুলিশ পাহারার যে কোন রোগী।
এদিকে, যে কোন রোগীকে অস্ত্রপচার শেষে সংক্রামকরোধে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হবে। এ সময় তিনি হাসপাতালের পরিছন্নতার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রোগী ও স্বজনদের ব্যবহৃত প্রতিটি টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিটি ওয়ার্ডে, কেবিন, বিভাগ ও ইউনিটও পরিপাটি। কোথাও সামান্য টিস্যু পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। প্রয়োজন অনুসারে জায়গায় জায়গায় পর্যাপ্ত ময়লা-আর্বজনা ফেলানোর ঝুড়ি-বালতি রাখা। নাকে লাগে না সামান্য দুর্গন্ধও। ব্যবহৃত সুই-সিরিঞ্জ, ওষুধ ও স্যালাইনের খোসাও রাখা নির্দিষ্ট স্থানে।
এ সময় উপস্থিত ছিল চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল ইসলাম, ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ, ডা. আবুল হোসেন, ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, ডা. তারিখ হাসান শাহীন, চুয়াডাঙ্গা সদর মডেল হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার দুলু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবির, ডা. মাহাবুর রহমান মিলন, ডা. হোসনে আরা আখি, ডা. শিরিন জেবিন সুমি প্রমূখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধনকালে হুইপ ছেলুন

আপলোড টাইম : ০৯:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮

পরিষ্কার পরিছন্নতায় শতভাগ এগিয়ে সদর হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি হাসপাতালের কথা উঠলেই অনেকের মনে নেতিবাচক একটা ধারণা আসে। নোংরা-আবর্জনার ছড়াছড়ি, নাক চেপে চলাফেরা ইত্যাদি যেন সরকারি হাসপাতালের অংশ। এমন পরিবেশের বাইরে ছিলো না চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালও। ময়লা-আবর্জনা, হকার-দালালের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে রোগীর ভোগান্তিই ছিলো বেশি। তবে সরকারি হাসপাতালের এমন চিরচেনা জঞ্জালময় পরিবেশ থেকে নিজেদের বের করে এনেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় শতভভাগ সফলতা অর্জন করেছে হাসপাতালটি।
গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শামিম কবিরের উদ্যোগে হাসপাতালে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। এসময় তিনি সদর হাসপাতালের ভিতরে পরিদর্শন করেন এবং পরিষ্কার পরিছন্নতার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড চালু হওয়ায় সুবিধা পাবেন রোগীরা। দুর্ভোগ কমবে স্বজনদের। পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড সেলে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন কয়েদি হাজতি, সন্ত্রাসীসহ পুলিশ পাহারার যে কোন রোগী।
এদিকে, যে কোন রোগীকে অস্ত্রপচার শেষে সংক্রামকরোধে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হবে। এ সময় তিনি হাসপাতালের পরিছন্নতার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রোগী ও স্বজনদের ব্যবহৃত প্রতিটি টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিটি ওয়ার্ডে, কেবিন, বিভাগ ও ইউনিটও পরিপাটি। কোথাও সামান্য টিস্যু পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। প্রয়োজন অনুসারে জায়গায় জায়গায় পর্যাপ্ত ময়লা-আর্বজনা ফেলানোর ঝুড়ি-বালতি রাখা। নাকে লাগে না সামান্য দুর্গন্ধও। ব্যবহৃত সুই-সিরিঞ্জ, ওষুধ ও স্যালাইনের খোসাও রাখা নির্দিষ্ট স্থানে।
এ সময় উপস্থিত ছিল চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল ইসলাম, ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ, ডা. আবুল হোসেন, ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, ডা. তারিখ হাসান শাহীন, চুয়াডাঙ্গা সদর মডেল হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার দুলু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবির, ডা. মাহাবুর রহমান মিলন, ডা. হোসনে আরা আখি, ডা. শিরিন জেবিন সুমি প্রমূখ।