চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে অটোচালক
- আপলোড টাইম : ০৯:২৭:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
ইজিবাইক, মোবাইলসহ নগদ টাকা খোয়া!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে লাগাতার চুরির ঘটনার পর এবার অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২নং গেইট তথা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকটি কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সবর্স্ব খোয়ানো অটোচালক দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুরের শালদাপাড়ার সারোয়ারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। জানা যায়, গতকাল সকালে দামুড়হুদা থেকে সদর হাসপাতালে যাত্রী নিয়ে আসে অটোচালক জাহাঙ্গীর। কিছুক্ষণ পর সদর হাসপাতালের ২নং গেইট ও উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে থেকে দুইজন পরিপাটি পোশাক পরিহিত ভদ্রলোক জাহাঙ্গীরের অটো রিজার্ভ করে। এসময় সুন্দর কথাবার্তায় ও কৌশলে ভুলিয়ে ভালিয়ে অটোচালক জাহাঙ্গীরকে একটি পান ও জুস খাওয়াই ভদ্রবেশী দুই প্রতারক। কথাবার্তা বলতে বলতে জাহাঙ্গীরকে উপজেলা পরিষদের চত্বরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অটোচালক জাহাঙ্গীর জ্ঞান হারালে তার পকেট টাকা একটি মোবাইল ফোন, নগদ কিছু টাকা ও জাহাঙ্গীরের ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকটি নিয়ে উধাও হয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।
এঘটনার কিছুক্ষন পর উপজেলা পরিষদে আসা কয়েকজন যুবক অটোচালক জাহাঙ্গীরকে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তারা জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় জাহাঙ্গীরের কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান ফিরলে সে সাংবাদিকদের জানায় কারা যেন তাকে পান ও জুস খাওয়াছে। তারপর আর কিছু মনে নেই।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরে পরিবারের সদস্যরা জানায় প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল সকাল ৮টার দিকে জাহাঙ্গীর তার আটো নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। গত মাসের ২৮ তারিখে জাহাঙ্গীর তার নতুন অটো কিনেছিলো বলেও জানাই তারা।
তবে উপজেলা পরিষদের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পরে থাকার কারণে উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদের ভিতরে থাকা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে। এতে অটোচালক জাহাঙ্গীরের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বোঝা গেলেও স্পষ্টভাবে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কাউকেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
অচেতন জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে জানতে চাইলে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, গণপরিবহনে যাত্রীদের অজ্ঞান করতে ট্রাঙ্কুলাইজার বা দ্রুত ঘুমানোর ওষুধ ব্যবহার করছে অজ্ঞানপার্টি নামক দুষ্কৃতকারীরা। অচেতন জাহাঙ্গীরের জ্ঞান ফিরতে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন, ওষুধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ওষুধ দ্রুত কাজ করে। এতে গভীর ঘুম হয়। আর পরিমাণে কম লাগে। এর বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার আগের বা পরের ঘটনা মানুষ মনে করতে পারে না। তবে যাদের কিডনি বা যকৃতের সমস্যা আছে, তাদের ওপর এই ওষুধ মারাত্মক প্রভাব ফেলে।