নিজস্ব প্রতিবেদক/দর্শনা অফিস: নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের ঘোষিত কর্মসূচী অনুয়ায়ী গতকাল সকাল ৬.৪০ মিনিটে জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদরে মাননীয় হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপিসহ আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ। এরপর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাসান চত্বরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মাননীয় হুইপ মহোদয়সহ আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুক্তিযুদ্ধে সম্মূখ সমরে শহীদ আট মুক্তিযোদ্ধার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণ সভায় যোগ দিতে জেলা আ.লীগ সভাপতি হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি’র নেতৃত্বে আটকবরের উদ্যেশে সকাল সাড়ে আটটায় যাত্রা করেন। সেখানে পেঁৗঁছে শত্রুমুক্ত দিবস উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ আট শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানে পেঁৗঁছে উপজেলার নাটুদহ আট শহীদের মাজারস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল ইসলাম মালিক। পতাকা উত্তোলন শেষে আট শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে আট শহীদসহ যুদ্ধে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে আট শহীদ মুক্ত মঞ্চে শহীদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, আজ খুশির দিন চুয়াডাঙ্গা জেলাকে শত্রুমুক্ত করে একটি স্বাধীন জেলা ও বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাংলার দামাল ছেলেরা এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সেনা বাহিনীর যৌথ আক্রমণ চালিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশকে শত্রুমুক্ত করা হয়। ২৫মার্চের রাতেই বঙ্গবন্ধু ইপিআর এর ওয়্যার্লেস এর মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনা দিয়ে যুদ্ধে নেমে পড়ার জন্য সকল পেশাজীবি এবং সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষকে আহবান জানান। সে যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী বাংলার মানুষকে হত্যা, অকথ্য নির্যাতন, অত্যাচারসহ নানা ধরণের নিপীড়ন শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধুকে আটক করে পাকিস্থানের কারাগারে আটক করে রাখে। তাদের ভয় ছিলো বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব বাংলায় আটক রাখলে এ দেশের মুক্তকামী মানুষ তাঁকে জেল থেকে মুক্ততো করবেই, একই সাথে বাংলাদেশে অবস্থানরত কোন পাকসেনা আর জীবিত থাকবে না-এমনটা পাক সরকার জানতো। দূঃসহ সেইসব দিনের মধ্যে দিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়। ৫ আগষ্ট এ যুদ্ধে আমিও ছিলাম, ভাগ্যগুনে আমিসহ ৭জন সেদিন বেঁচে যায়। বাকি ৮জন মুক্তিযোদ্ধা মারা যায়। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর যখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তখন পাকিস্থানের দোষর জামায়াত শিবির ও বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লীপ্ত হয়েছে। পাক বাহিনীর মত করে দেশ থেকে সকল ষড়যন্ত্রে মুছে ফেলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান। এছাড়া অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশাদুল হক বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল ইসলাম মালিক, সহ-সভাপতি নাসির আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান লিটু, জেলা শ্রমিকলীগের নেতা আশানুল হক, ইসলাম উদ্দিন, ফেরদৌস আরা সুন্না, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ নুরুল আলম, এ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেফালী খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আশাবুল হক আসা, মহসিন আলী, নজীর আহম্মদ, সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল কাদের, রাশেদুজ্জামান বাকি, গোলাম মোস্তফা লালা, নুরুজ্জামান টুটুল, হাফিজুজ্জামান হাফু, মিলু, হকি, ডালিম, কালাম, মাসুম, ফিট্টু, আ:কাদের, হযরত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলী জোয়ার্দ্দার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাহাবুল হোসেন, সদস্য খালিদ মাহমুদ, অয়ন হাসান জোয়ার্দ্দার প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আ: লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যায় শহীদ হাসান চত্বরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে মাননীয় হুইপের উপস্থিতে সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।