
বিশেষ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার নবনিবার্চিত পৌর পিতার কাছে পৌরবাসীর অনেক প্রত্যাশা থাকলেও এবং তিনি সেই অনুসারে পৌরবাসীকে প্রতিশ্র“তি দিলেও তা রক্ষা করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছেন পৌর পিতা। এমনটাই প্রতীয়মান হচ্ছে শহরের ভাঙ্গা ড্রেনগুলি সংস্কার না হওয়ায়। কারণ হিসেবে বলা যায় সম্প্রতি শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। তার কারণ ড্রেনে একের পর এক গরু পড়ার ঘটনায়। এ বিষয়টি পৌর পিতাকে জানানোর পরেও তা সংস্কারের প্রতিশ্র“তি দিয়েও তিনি সে প্রতিশ্র“তি রক্ষা করেননি। ফলে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আশু সংস্কারের দিকটি এখন আলোচনার বিষয়। শহরের ভিআইপি অঞ্চল ও অফিস পাড়া বলে খ্যাত, পুলিশ পার্ক লেনের ড্রেনটি এখন মরণফাঁদ। কয়েক মাস আগে পুলিশ পার্ক লেনের পার্শ্ববর্তী ড্রেনের উপরের স্লাব ভেঙ্গে একটি গরু ড্রেনে পড়ে যায়। এ সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বহু কষ্টে গরুটিকে উদ্ধার করলেও গরুটি অক্ষত থাকেনি। ড্রেনের স্ল¬াব ভেঙ্গে যাওয়ায় এই ড্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত থাকায় পুলিশ পার্ক লেনটি এখন দুর্গন্ধময় গলি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। গেল পুরো রমজান মাস জুড়েই দুর্গন্ধের দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ড্রেনের পার্শ্ববর্তী কোর্ট মসজিদের রোজাদার মুসুল্লিদের। সেই দূর্ভোগ থেকে এখনো নিস্তার মেলেনি তাদের। শুধু এই মুসুল্লিরায় নন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, দৈনিক সময়ের সমীকরণ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনে আসা জনসাধারণসহ বাবা-মায়ের সাথে পুলিশ পার্কে আসা শিশুরাও এই দূর্গন্ধময় দূর্ভোগের শিকার। যেহেতু এই এলাকাটিতে একাধিক অফিস, হোটেল এবং একটি বিনোদন পার্ক রয়েছে, সে কারণে এই লেনে সাধারণের চলাচলও বেশী। চলাচলকারী পথচারী ও এলাকাবাসীকে ড্রেনের দুগর্ন্ধের জন্য চরম অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়তে হয়। এই ড্রেনের স্লাবটি ভেঙ্গে যাওয়ার পরপরই পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে অবহিত করা হয়। এটি দ্রুত নির্মাণের প্রতিশ্র“তিও দেন পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রতিশ্র“তির কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও কথা দিয়ে কথা রাখেননি পৌর কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ এই এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের। এনিয়ে আইন শৃংখলা কমিটির সভায়ও আলোচনা হয়েছে। আর ফোনে..! সে যে কতবার অনুরোধ করা হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। হতাশ ভুক্তভোগীরা আশায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তাদের পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন এই ড্রেনের স্লাবটি আদৌ কি নির্মাণ হবে?