চুয়াডাঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া: ঘুমন্ত মাথাভাঙ্গা নদী জেগে উঠেছে! বইছে স্রোতধারা

rony (1)

 ঘুমন্ত মাথাভাঙ্গা  জেগে উঠেছে! বইছে স্রোতধারা

বিক্রম সাদিক/রনি বিশ্বাস: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরটি গড়ে উঠেছে প্রাচীন মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে যে নদীটি আজ মৃত প্রায়। নদীর পার দখল করে দোকানপাট গড়ে উঠেছে অনেক জায়গায়। অনেক স্থানেতে নদীর মাঝখানে ধান চাষ করা হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে ঘুমন্ত নদীটি যেনো জেগে উঠেছে বয়ে যাচ্ছে নদীটির স্রোতধারা। কানায় কানায় ভরে উঠেছে নদীটি। এ নদীর মোট দৈর্ঘ্য ১৩৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অংশে রয়েছে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার। ভারতের পদ্মা নদী থেকে বয়ে আসা এ নদী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর, ভেড়ামারা, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা হয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় প্রবেশ করেছে। এখন বর্ষামৌসুম আর এই বর্ষামৌসুমে চুয়াডাঙ্গার প্রাচীন নদী মাথাভাঙ্গাতে প্রচন্ড জলধারা যা নদীটিতে পূর্ণ যৌবন ফিরিয়ে দিয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারো নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীটির দিকে এখন তাকালে মনে হয় নদীটি জীবিত। শুধুমাত্র বছরের এই সময়টাতে নদীটিকে কিছুটা হলেও তার আগের রুপে দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় নদীতে মাছ পাওয়া যায় বেশ ভালোভাবে। কিন্তু এ সময় নদীতে জেলেরা যেখানে সেখানে বাঁধ দেয় এছাড়াও পাট জাঁক দেওয়ার জন্য নদীতে বাঁধ দেয় অনেকে যার ফলে নদীর পানি প্রবাহিত হয় না ঠিক মতো।

এর ফলে কোথাও পানি থাকে অনেক বেশি আবার কোথাও নদীতে পানির অবস্থা এরকম হয় যে নদীর মাঝখানে কৃষকেরা জমি দখল করে ধান চাষ করে। rony (3) তাই নদীটিকে তার নিজস্ব স্রোতধারায় জীবন্তভাবে রাখতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ কে উদ্যোগ নিয়ে জরুরীভিত্তিতে বাঁধ অপসারণ করা বা যে যে কারনে নদীটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তার প্রতিকার করা দরকার। চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি মানুষ চাই শুধুমাত্র বর্ষাকালে না নদীটির পানি যেনো সারাবছর একইরকম থাকে। কিন্তু দখল, ভরাট আর বাঁধ যেন নদীটির বেঁচে থাকার অন্তরায় হয়ে উঠেছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বয়স্ক মানুষেরা বলে তাদের দেখা মাথাভাঙ্গা আর এখনকার মাথাভাঙ্গার সেকাল একাল।