সমীকরণ প্রতিবেদন:
লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম বৃদ্ধিতে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার বলেছেন, সরকার চায় সর্বস্তরের সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে। এ জন্যই হতদরিদ্র্যদের জন্য সম্পূর্ণ নিখরচায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এ বিষয়ে আন্তরিক হলে অবশ্যই সরকারের আশু উদ্দেশ্য সফল হবে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলনকক্ষ অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভার সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ আরও বলেন, কোনো প্রকারের খরচ ছাড়াই ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন তাদের মধ্যে যারা মামলা প্রত্যাহার করছেন তাদের সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া দরকার। কোনোভাবে প্রভাবিত হচ্ছে কি না তাও আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো যাতে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনোভাবে বঞ্চিত না হন, সেদিকে আমাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। মোট কথা, বিচার প্রার্থী একজনও যেন বঞ্চিত না হন, নজর রাখুন।
লিগ্যাল এইড অফিসার মো. সাইফুদ্দীন হুসাইনের উপস্থাপতি মাসিক সভায় চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মুসরাত জেরীন, চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লুৎফর রহমান শিশির, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, জেলা তথ্য অফিসার, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাজী অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খান, সাধারণ সম্পাদক তালিম হোসেন, জিপি আশরাফুল ইসলাম খোকন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আবু তালেব, চুয়াডাঙ্গা জেল সুপার, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. ইউনুস আলী প্রমুখ উপস্থিত থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপনায় ও অনুমোদন করা হয়। প্যানেল আইনজীবীদের বিল অনুমোদানের পাশাপাশি সভার সভাপতি সকলকে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের লিগ্যাল এইউ অফিসার সহকারী জজ হিসেবে পদোন্নতি পাচ্ছেন বলে খবর পেয়েছি। তাকে আমাদের এ কমিটির তরফ থেকে অভিনন্দন।’