জীবননগর অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবু ওরফে মোবাইল মাস্টার ক্লাস চলাকালীন সময়ে রুমে ক্লাস না নিয়ে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত সময় কাটান। এর প্রতিবাদ করায় অন্য শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, গত রবিাবর সকালে স্কুল চলাকালীন সময় স্কুলের অফিস রুমের ভিতর থেকে শিক্ষকরা উচ্ছস্বরে চিৎকার করছে। আমরা স্কুলের দিকে গেলে সেখানে দেখি মুক্তারপুর গ্রামের মৃত তালেব মাস্টারের ছেলে মিনাজপুর হাইস্কুলের হাবিবুর রহমান হাবু মাস্টার মইনুর মাস্টারের সাটের কলার চিপে ধরে টানা হাচড়া করছে এক পর্যায় হাবু মাস্টার উত্তেজিত হয়ে স্কুলের ঘন্টা বাজানো হাতুড়ি নিয়ে মইনুর মাস্টারকে মারতে যাচ্ছে। এমন সময় আমরা সেখানে যেয়ে মইনুর মাস্টারকে সরিয়ে নিয়ে আশি এবং হাবু মাস্টারকে নিষেধ করলে সে আমাদের বলে আমি আমার ইচ্ছামত স্কুলে আসবো আমি ক্লাস নিই বা না নিই কারও কয়ফোত দেব না। যার ক্ষমতা আছে সে পারলে আমার কিছু করে নিক। এলাকাবাসী আরও বলেন হাবু মাস্টার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রভাবশালী নেতার কাছে থাকায় দির্ঘ ৪বছর যাবৎ নিয়মিত স্কুলে আসে না স্কুলের যে নিয়ম নীতি আছে তিনি তা মানতে রাজি নয়। মাঝে মাঝে যাওবা স্কুলে আসে ক্লাস রুমে ঢুকেই ছাত্র/ছাত্রীদের ক্লাস না নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একজন শিক্ষকের কাছে যদি ক্লাস নেওয়ার চেয়ে যদি ক্লাস রুমে মোবাইল ফোনে কথা বলাটা বেশি গুরুত্বপূর্ন হয় তা হলে স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা শিক্ষকদের কাছে কি শিখবে। তাছাড়া শিক্ষকে শিক্ষকে যদি স্কুলে মারামারি করে তা হলে ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের কাছ থেকে কি শিক্ষা গ্রহন করবে। এ ব্যাপারে মিনাজুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন হাবিবুর স্যার ক্লাসে আসে দেরি করে এবং ক্লাসের ভিতরে এসেই আমাদের পড়া না বুঝিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পড়া না বুঝিয়ে ক্লাসের ঘন্টা দিলেই তিনি চলে যান, আমরা যদি পড়া বুঝবার জন্য স্যারকে প্রশ্ন করি তাহলে স্যার আমাদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান হাবু মাস্টারের সাথে ০১৭৩৬৫৬৯৯১৯ কথা বললে তিনি বলেন আমি কোন শিক্ষককে মারধর করিনি। একটি মহল আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে মঈনুর আমার জুনিয়ার শিক্ষক সে আমাদের একটি গোপনীয় বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। তখন সে উচ্চ স্বরে কথা বলে তখন আমি তাকে বলি তুমি এত জোরে কথা বলোনা। আমি এই কথাটিই বলেছি তা ছাড়া আমি তার গায়ে হাত তুলিনি যারা এ ধরনের অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। এ ব্যাপারে মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন হাবিবুর সাহেব মঈনুর সাহেবকে কোন মারধর করেনি আমাদের ভিতরে একটা বিষয় নিয়ে কথাকাটা কাটি হয়েছিল। তা আমরা সকলে বসে সেটি মিটিয়ে ফেলেছি। তিনি আরও বলেন এলাকার কিছু ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য এ ধরনের মিথ্যা প্রচার করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ বিষয়টি আমি কোন রকম শুনেছি তবে এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। যদি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায় তা হলে নির্দিষ্ট প্রমান পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এলাকাবাসাীসহ সচেতন অভিভাবক মহল বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের লক্ষে এবং বিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি রক্ষার্থে হাবিবুর রহমান হাবু মাস্টারকে অচিরেই মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অন্য স্থানে বদলির জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাথে সাথে শিক্ষক হয়ে অন্য শিক্ষককে জনসম্মুখে পিটিয়ে আহত করায় তার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করছে।