চুয়াডাঙ্গায় ৫৬তম ইলেক্ট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সচেতনতা কর্মশালা অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক হোসেন ২০২১ সালের পর কোন টেণ্ডার আর ম্যানুয়ালী হবে না সবই ই-টেণ্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে
- আপলোড টাইম : ০৬:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সচেতনতা মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১.৩০মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এর পরিচালক ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক হোসেন। প্রধান অতিথি বলেন, জাতীয় উন্নয়নের এ সুবর্ণ মূহুর্তে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতার মাধ্যমে সরকারি অফিসার, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজকে একসাথে কাজ করতে হবে। সরকারের সক্ষমতা বেড়েই চলেছে, আমাদেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপকল্পে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য ই-জিপি পদ্ধতি দেশে ২০১১ সালে চালু হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের পর কোন টেন্ডার আর ম্যানুয়ালী হবে না। সবই ই-টেন্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তিনি বতৃতা শেষে ই-জিপি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন। কর্মশালয় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাঃ মু. ছিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধূরী জিপু। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমই বিভাগের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ (পিপিআরপি-২)’র আওতায় দেশে ই-জিপি বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) এর সহায়তায় ই-জিপি সচেতনতামূলক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের বৃহত্তর চারটি ক্রয়কারি সংস্থা যথাক্রমে-স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-কে টার্গেট করে অন্যান্য এজেন্সিতে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও টেকসই করাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ এর মূল উদ্দেশ। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সম-আচরণ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগীতা নিশ্চিতকল্পে এবং জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ২ জুন জাতীয় ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু হয়। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ই-জিপি গাইড লাইন জারী করা হয় সরকারি ক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারটি টার্গেট এজন্সীসহ ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৯৮টি সংস্থার দুই হাজারের অধিক ক্রয়কারী অফিস ই-জিপি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত হয়ে ক্রয়কার্য পরিচালনা করেছে। ই-টেন্ডারিং-এর জন্য ১৬ হাজারের অধিক টেন্ডারার ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। ই-জিপি সিস্টেম টেন্ডার রেজিষ্ট্রেশন ফি, নবায়ন ফি ও টেন্ডার ডকুমেন্ট ফি গ্রহণের জন্য ৩৯টি ব্যাংকের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং মোট ১৭১৫টি শাখার মাধ্যমে সারাদেশে এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কর্মশালায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, সরকারী ক্রয় সংস্থার প্রতিনিধি, ঠিকাদার ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ প্রায় ৫০জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন। এছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিথা, সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধূরী, প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, এনটিভি প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, দেশ টিভির প্রতিনিধি খাইরুজ্জামান সেতু ও দৈনিক সময়ের সমীকরণের বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক।