চুয়াডাঙ্গায় হসপাতপালে চিকিৎসকের অবহেলায় সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু
- আপলোড টাইম : ০১:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের স্টাফদের সাথে রোগীর লোকজনের হাতাহাতির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ। চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লার জোলা পাড়ার নজু হোসেনের একমাত্র ছেলে সজিব (১৮) তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সাপে তার ঘাড়ে কামড় দেয়। এর কিছুক্ষণ পর সজীব অনবরত বমি করতে থাকে এবং তার শরিরে খিচুনী শুরু হলে তার পরিবারের লোকজন সজিবের ঘাড়ের নিচে কামড়ের চিহৃ দেখে বুঝতে পারে সাপে কেটেছে। তখন তারা দ্রুত সদরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নাজমুল যশোরে নেওয়ার পরামর্শ দেন। অথচ রোগীর লোকজন সাপে কাটা সজিবকে যশোরে না নিয়ে কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। কবিরাজের কাছে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে আবার সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করাতে গেলে বাধ সাধেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রাজিবুল তিনি রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকৃতি জানালে রোগীর লোকজনের সাথে ডাক্তার রাজিবুল এবং হাসপাতালে কর্মরত স্টাফদের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একপর্যায়ে ডাক্তার পরিতোষ কুমার এবং ডাক্তার রাজিবুল হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে নিয়ে সাপে কাটা সজিবকে বাচাঁনোর জোর প্রচেষ্টা চালান কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে সজিব সবাইকে ছেড়ে সাপের বিষে নীল হয়ে চলে গেছে না ফেরার শেষে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো হাসপাতালের কিছু স্টাফ ডাক্তারদের সাথে যোগসাজস করে সাপে কাটা সজিবের লোকজনের কাছ থেকে ১০হাজার নেন এন্টি ভেনম মতিন ফার্মেসী থেকে কেনার নাম করে বলে রোগীর লোকজন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সচেতন মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি এন্টি ভেনমের সরকারী সাপ্লাই বন্ধ আছে? আর সজিবের মৃত্যুর দায়ভারটা কে নেবে? গত মঙ্গলবার একই সময় একইভাবে একই ঘরে সাপের কামড়ে সজিবের মায়ের মৃত্যুর পরে গতকাল মঙ্গলবার ছেলে সজিবের মৃত্যু সাধারণ মানুষের মনে অনেক কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে।