চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকের সাথে বিআরটিএ পরিদর্শক সবুজের অসদাচরণ বিচার চেয়ে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন

BRTAOffice

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে সংবাদ সংগ্রহকালে  পরিদর্শক এস এম সবুজ  দৈনিক সময়ের সমীকরণের সাংবাদিকের সাথে  অসদাচরণসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি বাজে মন্তব্য করেন এবং একই সময় তিনি বহিরাগত এক সাংবাদিককে ভুয়া সাংবাদিকের অভিযোগ তুলে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পরিদর্শক এস এম সবুজ  এর এই আচরণের বিচার দাবী করে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার সময় এ ঘটনা ঘটে।  ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আলোকচিত্রের স্টাফ রিপোর্টার তুহিন তপন ও তার এক সঙ্গী রশীদ আলম জানান, যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গায় একটি কাজে এসে আর্থিক সংকটে পড়ে। এ কারণে  গতকাল বেলা দুইটার দিকে তারা দুজন কোর্ট এলাকায় বিআরটিএ অফিসে যায়। সেখানে পরিদর্শকের এস এম সবুজ এর অফিসে যেয়ে তাদের পরিস্থিতির কথা খুলে বলে এবং কিছু আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ জানায়। কিন্তু পরিদর্শক এস এম সবুজ ঐ সাংবাদিকের কথা বিশ্বাস না করে তাদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার এবং ভুয়া সাংবাদিক ও সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ এনে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া “দৈনিক সময়ের সমীকরণের” শহর প্রতিনিধি অভিযোগ করে জানান, তিনি উল্লেখিত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে বিআরটিএ অফিসে গেলে পরিদর্শক এস এম সবুজ  তার সাথেও চরম অসদাচরণসহ চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিকদের নিয়ে অশ্লিল মন্তব্য করেন। এসময় তিনি এই প্রতিনিধির মোবাইলে ক্যামেরা চালু থাকায় ফোন কেড়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ন তথ্য মুছে দেন। এর প্রতিবাদ করায় তিনি পুলিশে দেওয়াসহ দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তোজাম্মেল হক জানান, সাংবাদিক তুহিন ও তার সঙ্গী পরিদর্শক এস এম সবুজের কাছে বিপদে পড়ে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল এবং তারা কোনো চাঁদাবাজ নয়। তিনি এও বলে পরিদর্শক লিখিত যে অভিযোগ করেছে তা আইনের আওতায় আসে না । এ বিষয়টি আমি আমার ঊর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে অবগত করেছি এবং পরবর্তী নির্দেশে অপেক্ষায় আছি।
এদিকে পরিদর্শক এস এম সবুজ কর্তৃক স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে ও অশ্লিল মন্তব্যের তীব্র নিন্দা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছে। সেই সাথে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরনের বিষয়ে ওই অফিসে উপস্থিত সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ তাদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে অভিযোগে বলেন বিআরটিএ অফিসের অনিয়ম দূর্নীতি এবং বিআরটিএকে দালালমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। একই সাথে  সেবা গ্রহনকারীরা এ বিষয়ে সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।