চুয়াডাঙ্গায় পৌর এলাকার ঠাকুরপুর ও দামুড়হুদা কাঠালতলায় দুর্ঘটনা রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স ও আলমসাধুর ধাক্কায় রক্তায় জখম ৫
- আপলোড টাইম : ১২:৩১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিবেদক আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ঠাকুরপুরে অবৈধ আলমসাধু ও মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে মোটর সাইকেল চালকসহ ৩জন গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঠাকুরপুর মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহত মোটর সাইকেল চালক চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্ম পাড়ার ইসমাইলের ছেলে রিমন (১৬) ও মোটর সাইকেল আরোহী চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ পাড়ার আদিদ (১৬) ও ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল পাড়ার মুন (১৭)। চালক রিমনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জানা গেছে, রিমন, আদিদ ও মুন এই তিনজন মোটর সাইকেলযোগে ঝিনাইদহ অভিমুখে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা ঠাকুরপুর নামক স্থানে পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা দ্রুতগামী অবৈধ আলমসাধুর সাথে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটর সাইকেলে থাকা তিনজনই ছিটকে রাস্তার উপড়ে পড়ে যায় এবং গুরুতর জখম হয়।পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আলমসাধুটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিমনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং আহত মুন ও আদিদ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কাঠালতলায় রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক বিপ্লব (৪০) ও আরোহী নাইম (৩০) নামের ২জন গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কাঠালতলা বাজার মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহত চালক চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পাড়ার মৃত মোজাম্মেল জোয়ার্দ্দারের ছেলে ও আহত মোটরসাইকেল আরোহী নাইম চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়ার স্কুল পাড়ার মৃত হারুনুর রশীদের ছেলে। জানা গেছে, নাইম চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটর সাইকেলযোগে দামুড়হুদা কাঠালতলা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কাঠালতলা বাজার মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সজোরে ধাক্কা দিলে চালক বিপ্লব ও সাথে থাকা নাইম রাস্তায় ছিটকে পড়েন ও তাদের বাম পা গুড়িয়ে যায় এবং এ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত সটকে পড়ে। খবর পেয়ে দর্শনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা চিৎলা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিৎলা হাসপাতপালের কর্তব্যরত চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতারে রেফার্ড করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে বিপ্লব ও নাইম দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।