সমীকরণ প্রতিবেদক: সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ হাজার ২৭১ জনে। গতকাল দেশে নতুন করে ৫৪৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ৩২৩ জনে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ জন। এসময় ৬ হাজার ৯৩৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৬ হাজার ৯৮৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। করোনা মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরো চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯১৫ জন। গতকাল সোমবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার ১৭টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। যার মধ্যে চারটি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকী ১৩টি নমুনার ফলাফল নেগিটিভ আসে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯১৫ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২১০ জনের। এর মধ্যে জেলায় আক্রান্ত হয়ে জেলার হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে মৃত্যু হয়েছে ১৯০ জনের। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।
করোনা মোকাবেলায় সরকারিভাবে জেলায় মোট ২৫০টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবার লক্ষে ৩০ জন সরকারি ও ১০ জন বেসরকারি চিকিৎসকসহ মোট ৪০ জন চিকিৎসক রয়েছেন, নার্স রয়েছেন ২৭ জন। জেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার ভর্তি (মজুদ) ১৩০টিসহ লিকুইড ট্যাঙ্ক লোড আছে। হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা রয়েছে সাতটি ও অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর রয়েছে দশটি।
গতকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৯ জন, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪২ জন ও তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৬ জন।