নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে ঝর্ণা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের নতুন বাস্তুপুর গ্রামের হাসেম আলীর মেয়ে ও সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বসতিপাড়ার রতন হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, সাংসারিক অশান্তির জের ধরে গত শনিবার রাতে ঝর্ণা খাতুনের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা তাঁকে মারধর করে। এসময় তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় ব্যক্তিরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন। এবিষয়ে ঘটনার দিন রাতেই ঝর্ণা খাতুনের পরিবারের সদস্যরা চারজনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ঝর্ণা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘সাংসারিক সামান্য বিষয় ও আমার শিশু ছেলের কারণে আমার স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে আমার বড় মামা শ্বশুর উজ্জল (৩৭), ছোট মামা শ্বশুর আলম (৩৫), তার স্ত্রী তারা (২৫) ও আমার ননদ শ্যামলী খাতুন (২৩) মিলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এসময় আমার স্বামী মানিক সেখানেই ছিল। পরে আমি চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন রাতেই আমার পরিবারের সদস্যরা তাদের নামে সদর থানায় মামলা করেছে।’