নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালের মিষ্টি রোদ উঁকি দেয়ার সাথে সাথে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায় কুয়াশা। আবার সন্ধ্যা হলেই কুয়াশাছন্ন হয়ে আধার নেমে আসে। এছাড়া প্রতিনিয়তই মধ্যরাতের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গা শহর সহ আশপাশ এলাকা ঘন কুয়াশার আবরণে ঢেকে থাকে। চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শীতে হতদরিদ্র মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটোতে আগুন ধরিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার অনেক অসহায় শীতার্তরা সাথে কথা বললে জানায়, শীতের মাঝামাঝি সময় পার করছি অথচ আমাদের এখনো পর্যন্ত কেউ শীতবস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেনি। এদিকে, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় দিনের শুরুতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। একই কারণে দূরপাল্লায় যানবাহন চলাচল করতে বেশি সময় লাগছে। যাত্রীরা জরুরী প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করছে না। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৩ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চারগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় বাড়তি এসব রোগী সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম অবস্থা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজীবুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের বেশির ভাগই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়া হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদেরও বেশির ভাগ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। তবে, আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনে রবি শস্যের ব্যপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশায় মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় নেমে এসেছে স্ববিরতা। এর সাথে যোগ হয়েছে কনকনে শীত। শহরের বড় বাজারের এক নৈশপ্রহরী বলেন, ‘রাইত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতও বাড়চে। সুইটার-জাম্পারেও কাজ হচ্চে না। কুড়াইনো কাগোচ আর ছিড়া ত্যানায় (পুরোনো কাপড়ের টুকরা) আগুন ধরিয়ে সারা রাত পার করচি। এ্যারাম শীত পড়লি ডিউটি করা মুশকিল হয়ে পড়বেনে।’ রেল ষ্টেশনের এক দরিদ্র শীতার্ত বলেন ‘শীতি অ্যাকেবারে হাঁড় কামড়ি ধরচে। গরম কাপুড়ির অবাবে সারারাত ঘুমই আসচে না।’