চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে তিন কমিটির বৈঠক গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ না থাকলে লার্নার দেওয়া হবে না
- আপলোড টাইম : ১২:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৩১৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ড্রাইভিং লাইসেন্সের আগে লার্নার নিতে হলে অবশ্যই যানবাহন চলানোর প্রশিক্ষণ থাকবে হবে। প্রশিক্ষণসনদ দিয়েই লার্নারের জন্য আবেদন করতে হবে। গতকাল রবিবার এ আলোচনা হয়েছে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়। সভায় আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ কমিটির (আরটিসি) সভা, চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং মহাসড়ক সংরক্ষণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি সভাতেই সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ কমিটির (আরটিসি) সদস্য সচিব সহকারি পরিচালক বিআরটিএ শেখ আশরাকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত পাল, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই- নিশচা’র সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক এস এম সবুজ, বাস মিনিবাস মালিক গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন মুক্তা, বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক মুক্তা প্রমুখ।
শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স- লার্নার পেতে হলে বিআরটিএ’র অনুমোদিত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষা নিতে হবে এবং লার্নার ফর্মে প্রশিক্ষকের সিল-স্বাক্ষর থাকতে হবে। জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সভায় প্রস্তাবটি সিদ্ধান্ত আকারে গ্রহণ করা হয়। তিনি আরো প্রস্তাব দেন, জেলার সকল অবৈধ যানবাহন কঠোর হাতে দমন করতে হবে। সভায় সড়ক দূর্ঘটনা ও সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অনেক বক্তা অভিযোগ করেন চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দূর্ঘটনা বেশি ঘটে। কোনো কোনো বক্তা অভিমত দেন নছিমন করিমন আলমসাধু ও ইজিবাইকের কারণেই সড়কে প্রাণহানি ঘটছে। দূর্ঘটনায় পড়ে অনেকে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নাবালকের হাতেও এখন ইজিবাইক। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করেন কমিটির সদস্যরা। চুয়াডাঙ্গা শহরের ট্রাক মালিকরা ট্রাক রাখার জায়গা ঠিক না করেই ট্রাক কিনেছেন। এমন অভিমতও আসে বক্তাদের মধ্যে থেকে। যেখানে সেখানে রাস্তার ওপর ট্রাক দাড় করিয়ে রাখা হয়। ট্রাকের কারণে রাস্তায় যানজট হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গার সহকারি পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ অভিযোগ করেন, চুয়াডাঙ্গার সড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে। পুলিশের নামেও চাঁদাবাজি হয়। গাড়ি প্রতি ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কারা চাঁদাবাজি করছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য পরিবহণ সেক্টরের সাথে জড়িতদের তিনি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, কারা এভাবে পুলিশের নামে চাঁদা নেন তা তিনি জানেন। প্রয়োজনে প্রমাণ উপস্থাপনও করতে পারবেন।