চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলেদের পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত

DSC08213

নিজস্ব প্রতিবেদক: উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের আওতায় জেলেদের পরিচয়পত্র বিতরণী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি  গতকাল বেলা ১০ টার সময় চুয়াডঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলে শুরু হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ জনের বেশি জেলে অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করে। জেলেদের সুরক্ষা সহ যে কোনো রকম ঝর জলচ্ছাস ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সত্যিকারের যারা  জেলে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের কে কে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া ও তাদের প্রশিক্ষনের সুবিধার্থে এই পরিচয় পত্র প্রদান করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে সরকারী তালিকাভূক্ত মোট ১০০৮ জন জেলেদের মধ্যে পরিচয় পত্র প্রদান করা হয় ৫১২ জনকে। বাকীদেরকে পরে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের এম,পি ও সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সূফী উল্লাহ, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুল হক বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম মামুন উজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন এই পরিচয় পত্র শুধুমাত্র যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন সেই সব জেলে ভাইদের জন্য। এই পরিচয়পত্র দেখিয়ে আপনারা গর্ব করে বলতে পারবেন সরকার আমাদের অধিকার দিয়েছে। আপনারা আইন-কানুন মেনে মাছ ধরবেন। অনেক সময় জেলেরা নিখোঁজ হয়ে যায় তাদের তথ্য সঠিক ভাবে তালিকাভূক্ত থাকে না ফলে তাদেরকে সনাক্ত করতে সমস্যা হয় এজন্য আমাদের সরকারী ডাটাবেজ এ থাকবে সকল জেলেদের তথ্য। দেওয়া হবে সব রকমের সুযোগ সুবিধা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী পুলিশ  সুপার বলেন আপনারা  বৈশাখ মাসে মা মাছ শীকার করবেন না কেননা বৈশাখ মাসে মাছ ডিম পারে যা দেশে মাছের চাহিদা পূরণে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করে। উপজেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান বলেন একটা কথা আছে জাল যার জল তার। সকল জেলেই যেমন মৎসজীবী সকল মৎসজীবী জেলে নয় সেরকম আমি চাইলে জেলে হতে পারবো না। আপনারা অনেক ভূমিকা পালন করছেন আমাদের দেশের মানুষের জন্য তাই আপনাদের জন্যও সরকার কিছু করছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জনাব সায়মা ইউনূস তিনি তার বক্তব্যে বলেন সরকার যে আপনাদের নিয়ে ভাবে না তা না সরকার আপনাদেরকে নিয়েও ভাবে। আমরা কিছুদিন আগেও সুমদ্রসীমা জয় করেছি এই সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপে। আপনারা মৎস অধিদপ্তরের নিয়ম কানুন মেনে মাছ ধরুন যখন মাছ ধরার সময় না তখন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকুন। বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে যেন মাথাভাঙ্গা নদী তার নব যৌবন লাভ করেছে।