নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদায় ইজিবাইকের ধাক্কায় মোহাম্মদ আলী নীরব (৮) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে রাস্তা পার হওয়ায় সময় ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় সে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় দুর্ঘটনা সংগঠিত ইজিবাইকের চালকই তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত নীরব ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সাদেক আলীর ছেলে ও দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার নূরানী শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে মাদ্রাসার পাশের একটি বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে মাদ্রাসায় ফিরছিল সে। এসময় রাস্তা পার হওয়ায় সময় একটি দ্রুতগতির ইজিবাইকের সঙ্গে তার ধক্কো লাগে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় ইজিবাইকের চালক তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, সন্ধ্যায় নীরবের মৃত্যুতে তার স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
নিহত নীরবের মা লাকি খাতুন জানান, ‘গোপালপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করলেও মাদ্রাসার পাশের একটি বাড়িতে তিনবেলা খাবার খেত নিরব। গতকাল দুপুরে জুম্মার নামাজ পর দুপুরের খাবার খেয়ে মাদ্রাসায় ফেরার সময় রাস্তা পার হতে যেয়ে ইজিবাইকের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে নীরব বড়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘দুপুরে স্থানীয় ব্যক্তিরা শিশু নীরবকে জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জানতে পারি সে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগ থেকে শিশুটিকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে নীরব নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
