চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় মটর শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া : বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের সড়কে ব্যাডিকেড দিয়ে অবরোধ

mail.google.coms

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় মোটর শ্রমিকদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও  ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজারস্থ বিদ্যুত অফিসের সামনের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ব্যারিকেড দিয়ে এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,গতকাল বেলা ১১টা থেকে শহরের রেল বাজারস্থ বিদ্যুত অফিসের সামনের এলাকায় জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলছিলো। এ সময় সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ট্রাক সরিয়ে নিতে এর চালককে নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুহুল আমিন। কিন্তু চালকেরা তাতে কর্ণপাত না করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস্কেভেটর দিয়ে ট্রাকগুলো অপসারণের নির্দেশ দিলে বাঁধে বিপত্তি। এস্কেভেটর দিয়ে ট্রাক সরাতে গেলেই দাড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালকেরাসহ উপস্থিত শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর মারমুখি হলে শুরু শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদ পেয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছান এবং দূ’পক্ষের আলোচনায় শ্রমিকেরা তাদের অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সেই সাথে উচ্ছেদ কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখেই  গতকালের অভিযানের পরিসমাপ্তি ঘটে। উচ্ছেদে অংশ নেয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুহুল আমিন জানান, উচ্ছেদ অভিযানের সময় সেখানে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় অভিযান পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছিলো। এ সময় এক ঘন্টা ধরে ট্রাকের চালকদের ট্রাক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও ট্রাক সরাতে তারা কালক্ষেপন শুরু করে। পরে ট্রাকগুলো সরাতে গেলে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তবে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক  রিপন মন্ডলের অভিযোগ পুলিশ শ্রমিকদের উপর গুলি করতে গেলে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে আলোচনার মাধ্যমে তা নিরসন করা হয়েছে।