শহর প্রতিবেদক আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদাহ বাজারের অদূরে ট্রাক ও যাত্রীবাহি আলমসাধুর মুখোমুখী সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। আহত জনি (১৮) দামুড়হুদা উথলি বাজার পাড়ার রফিকুলের ছেলে ও একই এলাকার মৃত মুসাফিরের ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৭)। জানা গেছে, গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আলমসাধুযোগে ডিঙ্গেদহ বাজারের পৌছালে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি দ্রুত ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে জনি ও শফিকুল ইসলাম রক্তাত্ত জখম হয় এবং আলমসাধুতে থাকা বাকি শ্রমিকেরা মাটিতে পড়ে যায়। পরে জনি ও শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুই জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনার পরই ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যায়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রতিবেদককে বলেন, জনির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছে। তাই উন্নতি চিকিৎসার জন্য আমরা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করি।
অপরদিকে, বিয়াই বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে আলমসাধুর সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে আলমসাধুর যাত্রীসহ আহত হয়েছে ৪জন।গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুতুবপুর-মুন্সিপুর সড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বয়রা পূর্বপাড়ার মৃত কলিমদ্দিনের ছেলে তাহাজ উদ্দিনের বড় ছেলের স্ত্রীকে আনতে বিয়াই বাড়ি জীবননগর যায়। চালক তাহাজ উদ্দিন ও তার বড় ছেলের স্ত্রী লিমা খাতুনসহ তার ছোট দেবর আমির হামযা ৩জন মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে মুন্সিপুর-কুতুবপুর সড়কে পৌঁছালে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি আলমসাধুর সাথে মোটরসাইকেল আরোহীদের সংঘর্ষে রমজান আলীসহ মোটরসাইকেলে থাকা ৩জনই জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত আলমসাধু যাত্রী রমজান (৫০) কার্পাসডাঙ্গা মুন্সিপুর দক্ষিন পাড়ার মৃত গোপাল তরফদারের ছেলে। এদিকে মোটরসাইকেল চালক তাহাজ উদ্দিনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাজ উদ্দিনকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।