
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডায়াবেটিক সমিতি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি আজাদ মালিতার সভাপতিত্বে সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহ. শামসুজ্জোহা। সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহানের সঞ্চালনায় সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান, অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন ও অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা বক্তব্য দেন।
সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, ডা. ফকির মহাম্মদ, এএইচএমএম কামাল তুহিন, সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার ও আবু সাইদ মো. আহসানুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। উমুক্ত আলোচনায় আজীবন সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন পিপি, হাজী গোলাম রসুল তারিক, এম.এম আলাউদ্দিন, মাহবুবুল ইসলাম সেলিম, বজলুর রহমান জোয়ার্দ্দার, শ্যামল কুমার সাহা, ওমরদীপ আগরওয়ালা ও আব্দুল ওয়াহাব, সমিতির মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান, ডা. নাহিদ ফাতেমা রত্না ও পুষ্টিবিদ উম্মে আতিকা মল্লিক আঁিখ বক্তব্য দেন।
এয়াড়াও সভায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সুস্থতা কামনা করে এবং ডায়াবেটিক সমিতির প্রয়াত আজীবন সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল আমান জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাসুম বিল্লাহ।
আজীবন সদস্য প্রয়াত মেয়র মতিয়ার রহমান ও ইছাহক আলী মিয়া’র স্মরণে শোক প্রস্তাব, সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের বাণী পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহ. শামসুজ্জোহা।
সভায় জানানো হয়, ডায়াবেটিক সমিতি ২০২২ সালে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৯ টাকা আয় এবং ৫১ লাখ ৩০৫ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সমিতির লাভ হয়েছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। বর্তমানে দুইজন অভিজ্ঞ ডাক্তার ও একজন পুষ্টিবিদসহ ১৮ জন স্টাফ দিয়ে ১৩ হাজার ৪৬৭ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। ২২৮ জন সুবিধাবঞ্চিত রোগীদের সমিতির সমাজকল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে ৬৬ হাজার ২২৫ টাকার ফ্রি সেবা এবং ৩ হাজার ৫৫১ জন রোগীকে বিশেষ ছাড়মূল্যে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৯ টাকা ডিসকাউন্ট দেয়া হয়েছে। সমিতির বর্তমান মূলধন ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ২১১ টাকা ব্যাংকে আছে।
সভার সভাপতি আজাদ মালিতা বলেন, ‘ডায়াবেটিক সমিতি পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাবলম্বি হতে না পারলেও লাভবান আছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতি তালাবদ্ধ ও রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমাদের হাসপাতাল স্বনির্ভরতায় এগিয়ে চলেছে। সুযোগ ও একখন্ড জমি পেলে সেখানে চলে যাবো। আমাদের কাছে ফেল বলে কিছু নেই। সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার আমাদের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতি আজীবন সদস্যদের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে যেতে চায়। সমিতির সফলতায় আপনাদের পাশে পবো।’