ইপেপার । আজ শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

‘দুর্যোগ প্রশমন একা নয়, প্রতিবেশীদেরও শেখাতে হবে’

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।

‘আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনীয় ভবিষ্যৎ গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণে বিভিন্ন কলাকৌশল প্রদর্শন করেন।

পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম এবং সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী কমিশনার সামিউল আজম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ক্বারী কবির আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জহির রায়হান এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনারবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে, এখন প্রকৃতির দোষ দিয়ে লাভ নেই। বন্যায় যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মারা যায় দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে। দুর্যোগ প্রশমন একা শিখলেই হবে না, যা শিখেছেন, তা প্রতিবেশীদেরও শেখাতে হবে। আমরা যদি বিধিবিধানগুলো মেনে চলি, ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।’

এদিকে, র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে র‌্যালিটি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। এসময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. তানভীর হাসান রুমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা, ট্রেজারি শাখা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা) মো. সাজেদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (রেকর্ডরুম শাখা, আইসিটি শাখা) মো. হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা শাখা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা, (অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল) শেখ তৌহিদুল কবীর, পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, জেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শামীম রেজা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক মহড়া প্রদর্শিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

‘দুর্যোগ প্রশমন একা নয়, প্রতিবেশীদেরও শেখাতে হবে’

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।

‘আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনীয় ভবিষ্যৎ গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণে বিভিন্ন কলাকৌশল প্রদর্শন করেন।

পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম এবং সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী কমিশনার সামিউল আজম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ক্বারী কবির আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জহির রায়হান এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনারবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে, এখন প্রকৃতির দোষ দিয়ে লাভ নেই। বন্যায় যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মারা যায় দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে। দুর্যোগ প্রশমন একা শিখলেই হবে না, যা শিখেছেন, তা প্রতিবেশীদেরও শেখাতে হবে। আমরা যদি বিধিবিধানগুলো মেনে চলি, ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।’

এদিকে, র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে র‌্যালিটি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। এসময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. তানভীর হাসান রুমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা, ট্রেজারি শাখা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা) মো. সাজেদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (রেকর্ডরুম শাখা, আইসিটি শাখা) মো. হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা শাখা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা, (অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল) শেখ তৌহিদুল কবীর, পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, জেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শামীম রেজা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক মহড়া প্রদর্শিত করা হয়।