চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের পৃথক অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চালানো এ অভিযানে আটক ৪ জনের কাছ থেকে ৫০ লিটার তাড়ি, ৪১০ গ্রাম গাঁজা ও ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন এবং ১ জনের রিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি পুরাতন পাড়ার মৃত ভোলা বিশ্বাসের ছেলে রওশন আলী বিশ্বাস (৫৫), একই এলাকার আকছেদ আলী মণ্ডলের ছেলে জিনারুল মণ্ডল (৪০), দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে আসমান আলী (৪০)। এবং একই উপজেলার পীরপুর কুল্লা গ্রামের মাঠপাড়ার হারুন অর রশিদের ছেলে সজীব মোল্লাকে (২২) নিয়মিত মামলাসহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ও সাহারা ইয়াসমিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাতগাড়িতে একটি খেজুর বাগানে অভিযান চালিয়ে ২০ লিটার তাড়িসহ রওশন আলী বিশ্বাসকে ও ৩০ লিটার তাড়িসহ জিনারুল মণ্ডলকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’জনকেই ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ শ টাকা করে জরিমানা করেন।

বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একই টিম আসমান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪১০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করে। পরে নিব্যাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসমান আলীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ শ টাকা জরিমানা করেন। সাজাপ্রাপ্ত ৩ জনকে গতকালই জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একই অভিযানিক টিম সজীব মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলাসহ তাকে দামুড়হুদা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

অপর দিকে, দর্শনা কেরুজ স্ট্যাফ কোয়ার্টারে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীরের নের্তৃত্বে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আহম্মেদ আলী বিশ্বাস, এসআই সোহেল ও এএসআই বশির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় কেরুজ স্ট্যাফ কোয়ার্টারের একটি কক্ষে বসে মদ ও গাঁজা সেবনের সময় ৩ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় মাদকদ্রব্য মদ ও গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম।

পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সজল কুমার দাস। আদালতে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য আইনে ৩৬/১ ধারায় স্বারনী ৫ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ১ শ টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দর্শনা আনোয়ারপুরের রুহুল আমিনের ছেলে আশরাফ আলী (৪০), কেরুজ হাসপাতাল পাড়ার সবেদ খাঁর ছেলে সুজন (৩৫) ও কেরুজ পিও কোয়ার্টারের আব্দুর রহমানের ছেলে মাইনউদ্দিন লিটন (৪৫)। পরে মাদক সেবনকারীদের নিকট হতে উদ্ধার হওয়া মদ ও গাঁজাসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সকল আসামিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।