সমীকরণ ডেস্ক:
অতিমারী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ কাজে আসছে না। গত এক সপ্তাহে দেশে ২২২ শতাংশ শনাক্ত বাড়লেও এনিয়ে সাধারণ মানুষের যেন কোনো মাথাব্যথাই নেই। চুয়াডাঙ্গা গত দুদিনে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৬ পাঁচজন সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ও ৮ জন ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় তাদের ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে দর্শনা চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঝিনাইদহে গতকাল সোমবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৯জন। এরমধ্যেই হঠাৎ অধিকাংশ মানুষের সর্দি জ্বর, কাশিসহ নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই জেলার হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অধিকাংশ মানুষই ইচ্ছেমতো চলাচল করছে। সব জায়গার রাস্তায় মানুষের ঢল নামলেও কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। একেবারেই স্বাভাবিক সবার চলাচল।
হোটেল-দোকানে কেনাবেচা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে। রাস্তায় চলাচল করছে মাস্কবিহীন পথচারীরা। কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। তবে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও রয়েছে যথেষ্ট শিথিলতা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত কিছুটা স্থিতিশীল ছিল করোনার সংক্রমণ। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে সরিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে ওমিক্রন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প কছু নেই।
এদিকে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করার কেই নেই। বিধিনিষেধ মানতে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা, থানা পুলিশ, ভ্রাম্যমাণ আদালত বা অন্যান্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এই দুই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে মানুষের মাঝে টিকা নেয়ার হার বেড়েছে। দুই জেলার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তদের ধরন ডেল্টা না ওমিক্রন তা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’