
প্রতিবেদক, তিতুদহ/সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারের নিজের ফার্মেসি থেকে বাকি বিল্লাহ বাবলু (৫০) নামের এক ব্যক্তিার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে সিন্দুরিয়া ক্যাম্প পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে ওই ফার্মেসি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকি বিল্লাহ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী গ্রামের বসির মিয়ার ছেলে। তিনি বদরগঞ্জ বাজার কমিটির ক্যাশিয়ার ছিলেন। খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান (সদর সার্কেল) ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকি বিল্লাহ দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে বদরগঞ্জ বাজারে ফার্মেসি দেন। এরমধ্যে তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি বদরগঞ্জ বাজার কমিটির ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন। টাকার জন্য সবাই তাকে চাপ দিচ্ছিল। তাই পাওনাদারদের চাপে তিনি নিজ ফার্মেসিতে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাবলুর ছেলে আমির হাসান ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না বাকি বিল্লাহ। চাপ সইতে না পেরে তিনি ফার্মেসির মধ্যে ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বদরগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি মিণ্টু বলেন, ‘বাজারে ২৫ সদস্যের একটি সমিতি আছে। সমিতির সদস্যরা প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে জমা দেন। ১০ দিন পরপর লটারির মাধ্যমে সেসব টাকা একজনকে দেওয়া হতো। এই সমিতির ক্যাশিয়ার ছিলেন বাকি বিল্লাহ। তিনি কাউকে না জানিয়ে সমিতির ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। কয়েকবার মিটিংয়ের পর তিনি ১ লাখ ২০ হাজার ফেরত দেন। বাকি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে ৬ মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। অনেকেই ধারণা করছে, বাকি বিল্লাহ বিভিন্ন মানুষের থেকে ধার ও সমিতি টাকা ফেরত দিতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের থেকে জানতে পেরেছি, বিভিন্ন মানুষের থেকে ধার নেওয়া টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না বাকি বিল্লাহ। পাওনাদাররা তাকে চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’