চুয়াডাঙ্গায় বৈরী আবহাওয়ায় কুমড়ার ফলন বিপর্যয়, হতাশ চাষিরা
বিঘায় খরচ ১৫ হাজার, দাম উঠছে ৩ হাজার টাকা
- আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
- / ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বৈরী আবহাওয়ায় ফলন ও দাম কম হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ কুমড়া চাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অনেক কৃষক জমি লিজ নিয়ে কুমড়া চাষ করে ঋণের জালে জড়িয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চাষিদের পাশাপাশি লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরাও।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এ মৌসুমেও চুয়াডাঙ্গার চাষিরা ব্যাপকহারে কুমড়া চাষ করেন। তবে টানা খরা ও তীব্র তাপদাহের কারণে কুমড়ার গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবছর ফলন অনেক কম হয়েছে। অন্যদিকে বিক্রির সময় দাম পাননি। আবার টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কুমড়া রাখলে পচে যাচ্ছে। এতে তিন দিক থেকে লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলার কুমড়া চাষিরা।
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির বিভিন্ন ফার্মের জমি লিজ নিয়ে কুমড়ার চাষ করা কৃষকেরা জানান, ফলন ও দাম দুইটাই কম পেয়ে চাষিরা ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কুরমান আলী নামে একজন কৃষক সময়ের সমীকরণকে বলেন, ‘এবার আমি আড়াই বিঘা জমিতে কুমড়ার চাষ করি। বিঘা প্রতি আমার খরচ হয় আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু আড়াই বিঘা জমির কুমড়া ব্যাপারীরা দাম বলছে মাত্র ৩ হাজার টাকা। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জমিতে এবার কুমড়ার ফলন একবারেই হয়নি।
হিজলগাড়ী গ্রামের কুমড়া ব্যবসায়ী বরকত আলী বলেন, চাষিদের কাছ থেকে কুমড়া কেনার পর জমিতে এক দিনের বেশি রাখা যাচ্ছে না। বৃষ্টির পানিতে কুমড়া পচে যাচ্ছে। আব্দুল ওহাব নামে একজন কৃষক বলেন, ব্যাপারীরা জমি থেকে আন্দাজ করে কুমড়া কেনেন। কেউ কেউ মণ হিসাবেও ক্রয় করেন। কিন্তু এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে কুমড়ার ফলন আশানুরূপ না হওয়ায় চাষি ও ব্যবসায়ী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ঢাকার কারওরান বাজারের মা সবজি ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী কেয়ামত ব্যাপারী বলেন, এবার কুমড়ার উৎপাদন যেমন কম, তেমনি চাহিদাও। মাঠ পর্যায়ে এক কেজি কুমড়া ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা ধরে কিনছি। যা গত বছর ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়েছিল। আর গত বছর একটা কুমড়া কমপক্ষে ৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এবার ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের কুমড়াই বেশি।