
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জমকালো আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ৩৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় জেলার চারটি উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার অনুকরণে সাজানো হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং খেলাসূচি। ঘড়ির কাটাই যখন সকাল ৮টা, ঠিক সেই মুহূর্তেই জেলা প্রশাসকসহ অতিথিদের গাড়ি প্রবেশ করে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকসহ অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে প্রতিযোগীদের মনোজ্ঞ মার্চ আউট। এরপর দিনব্যাপী চলতে থাকে ৩৩টি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা। বিকেল চারটায় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিতিদের সাথে উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের পত্নী মেহেনাজ খান বাঁধন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্নী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) পত্নী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি ) পত্নী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পত্নী আফরোজা মুন্নী। বিকেলে মহিলা অতিথিদের বাস্কেটে টেনিস বল ফেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক পত্নী মেহেনাজ খান বাঁধন। এছাড়াও পুরুষ ও অতিথিদের লৌহ গোলক নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ দুটি প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়দের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের পত্নী মেহেনাজ খান বাঁধন বলেন, খেলাধুলা যেমন শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখে, তেমনি বিকাশ ঘটায় মানসিকভাবে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, এক্সট্রা কারিকুলাম হিসেবে সকলকেই গ্রহণ করতে হবে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও আজ এগিয়ে চলেছে সমান তালে। তাই আজ আর মেয়েদেরকে গণ্ডিবদ্ধ জীবনে বেধে রাখা যাবে না। তোমাদের এই মাঠে ক্রিকেট খেলেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইভা নামের চুয়াডাঙ্গার একটি মেয়ে। তোমাদের কেউ সেই শপথ অনুসরণ করে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ মোহাম্মদ রাসেল।