
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় জমকালো আয়োজনে উদ্যাপিত হলো বসন্ত বরণ উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের বাসভবনে সুরভিত বসন্ত বরণে ছিলো নানা আয়োজন হয়। এ বর্ণিল আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারি দপ্তরের পদস্থ সকল কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও জেলা প্রশাসক পত্নী মেহজাবিন খান বাঁধন সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন। আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) কবীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ প্রশাসন) আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুকসানা মিতা, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সম্পাদক-প্রকাশক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খাতুনসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের স্মারক হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন ও নুর পেয়ারা বেগম দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুভেচ্ছা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও জেলা প্রশাসক পত্নী মেহজাবিন খান বাঁধন।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রং, উৎসব, আমেজ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আবহমান বাংলার চিরচেনা বৈশিষ্ট্য। এসব উৎসব অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজের বার্তা দেয় এবং মানুষের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণে এসব উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বসন্ত বরণ উৎসবটি আয়োজন করে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও চুয়াডাঙ্গা লেডিস ক্লাব। বসন্ত বরণ উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে জেলা প্রশাসকের একমাত্র কন্যা যায়ানা। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির বসন্ত বরণ উৎসব অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনের শুরু থেকে জেলা প্রশাসকের বাংলোতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা, চা, কফিসহ নানা বাঙালি খাবারের আয়োজন বসন্ত বরণ উৎসবে এনে দেয় অন্য এক মাত্রা। বসন্ত বরণ হলুদের রঙে রাঙিয়ে আগত অতিথিরা আয়োজনস্থল বর্ণিল করে তোলেন। সেইসাথে রঙিন আলোক ছটায় অনুষ্ঠান এক অন্য মাত্রা পায়। ঠিক ঘড়িতে যখন রাত ৯টা বাজে। সেই সময় জেলা প্রশাসক উপস্থিত সকলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ ও নৈশভোজ পরবর্তী উৎসবে শামিলের আহ্বান জানান। আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পত্নীসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ আন্তরিক আতিথেয়তা সকলকে মুগ্ধ করে। বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল।