
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফারাজ ড্রিংকিং ওয়াটারের নিজস্ব জমিতে কারখানার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার দিগড়ী গ্রামে এর উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেঁটে কারখানার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সময় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানে সকল আয়োজনে পানি লাগছে। পানির কোয়ালিটি এনশিয়র করতে হবে। বিশ্বস্ততার সাথে ব্যবসা করতে হবে। উন্নত বিশ্বে দেখি একটি বোতলে সমস্যা থাকলে হাজার হাজার বোতল সরিয়ে ফেলে। বিবেককের ওপর কিছু নেই। বিবেক দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান করা হয়। আপনারা নিয়মিত টেস্ট করবেন। ভালো যেকোনো কাজের সাথে আমরা আছি। কারখানায় বিএসটিআই-এর অনুমোদন না থাকলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ব্যবসা বৈধভাবে করতে হবে। সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়মিত দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। অনেক দেশ ভূর্গস্থ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক। বৃষ্টির পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা আশা করব, ফারাজ চুয়াডাঙ্গায় মানুষের আস্থা অর্জন করবে। বিশুদ্ধ পানি আমাদের জীবন। আমাদের দেশে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই বেশি সতর্ক হতে হবে। আমরা ভেতরের ল্যাব দেখলাম। সবগুলো ধাপ অতিক্রম করেই পানি দেওয়া হচ্ছে। পানির কোয়ালিটিও ভালো। দামের দিক দিয়েও সাশ্রয়ী।’
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, ফারাজ ড্রিংকিং ওয়াটারের মালিক ফজরুজ্জামান নিশানের পিতা মজিবুর রহমান বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।
কারখানার মালিক ফজরুজ্জামান নিশান জানান, ইতালিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি এ কারখানা থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৬ হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ পানিতে রুপান্তর করা সম্ভব। যা জেলা শহরের গ্রাহকদের ফ্রি হোম ডেলিভারি করবে আমাদের নিজস্ব কর্মীরা। প্রতিটি জারে পানি ধারণ ক্ষমতা ২০ লিটার। আমরা চুয়াডাঙ্গা এবং আশপাশের জেলার মধ্যে একমাত্র বিএসটিআই-এর লাইসেন্সপ্রাপ্ত কারখানা পরিচালনা করছি। ল্যাব থেকে শুরু করে সবকিছুই আছে আমাদের কারখানায়।