
সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দর্শনার বোয়ালিয়া গ্রামের (বর্তমান চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়া) মোছা. লাভলী খাতুন। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লাভলী দাবি করেন, ‘আট বছর আগে তোফাজ্জেলের ছেলে কুদ্দুসের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। সেই সংসারে লাখী নামের একটি মেয়ে সন্তান ছিল। এর সত্বেও মো. জিয়াউর রহমান আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। সে আমাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার করে দেহভোগ করে এবং আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। আমি চাপ দেওয়ায় সে আমাকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই জিয়াউর আমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মারধত করত। এরমধ্যে জিয়াউর গাড়ি কেনার জন্য আমাকে বাপের বাড়ি থেকে ধার করে ৩০ লাখ টাকা আনতে বলে। আমি বিষয়টি বাবাকে জানালে আমার সুখের কথা চিন্তা করে বাবা কিছু টাকা দেন এবং আমি আগের স্বামীর রক্ষিত জমা টাকা মিলে জিয়াউরকে ২৩ লাখ টাকা দিই। সর্বশেষ সে আমাকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় আমি দর্শনা থানায় মামলা করি। এরপর থেকে জিয়াউর ও তার লোকজন আমাকে হত্যার চেষ্টা করতে থাকে।’
লাভলী আরও দাবি করেন, ‘চলতি মাসের ৮ তারিখে আমি ওষুধ কিনতে চুয়াডাঙ্গা কোর্টের পাশে যায়। সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জিয়াউর, মো. সুবান, মো. জনি মোল্লাসহ কয়েকজন আমাকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে আমি ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চলতি মাসের ৯ তারিখে জিয়াউর জামিনের আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। এরপরও জিয়াউরের লোকজন আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমাকে হত্যার করবে বলে ভয় দেখাচ্ছে। আমি নিরুপয় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউর বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। ওই্ নারী আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং আমাকে ফাঁসাতে সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতারণার বিষয়ে আমার কাছে প্রমাণ আছে।’