
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘ভালো থাকার সৎ চিন্তা করতে হবে। সৎ মনবিত্ত নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে। আপনারা সুন্দর ও সৎ চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যান। প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যদেরও প্রশিক্ষণ নেওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে পিছিয়ে পড়া মা বোনদের এগিয়ে নিতে হবে। উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে যদি একটি মেলার আয়োজন করা যায়, তাহলে আরও ভালো হবে। উদ্যোগ যেন উদ্যোগের মাধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। এই উদ্যোগ যেন প্রসার লাভ করে। বিনিয়োগ শুধু বিনিয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বিনিয়োগ আলোর মুখ দেখাবে। চুয়াডাঙ্গায় উইসিডি (ডড়সবহ ধহফ ঊহঃৎবঢ়ৎবহবঁৎং ঈযঁধফধহমধ-ডঊঈউ) এর উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি থেকে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘আপনারা পুনাক সম্পর্কে জানেন। আমি চাচ্ছি চুয়াডাঙ্গায় পুনাকের কার্যক্রম ভালো হোক। চুয়াডাঙ্গাতে ইতোমধ্যে পুনাকের অফিসও করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় পুনাক বেশ কিছু কাজ করেছে। পুলিশ পার্কে পুনাকের একটি ছোট্ট শো-রুম হচ্ছে। আপনাদের প্রোড্রাক্টই থাকবে পুনাকের শো-রুমে। পুনাকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার একটা ইচ্ছা আছে। বড় বাজার থানার সামনে পুনাকের একটি বিউটি পার্লার করা হবে। পুনাক এবং জেলা পুলিশ আপনাদের পাশে আছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার পত্মি ও জেলা পুনাকের সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তারা অনেক কিছু করতে পারেন। মনে সাহস নিয়ে আপনারা এগিয়ে যাবেন। আমি মনে করি, আপনাদের কাজ আপনাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবে। পুনাকের সকলের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। পুনাক সব সময় আপনাদের পাশে আছে।’
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শাহ আলম সনির পরিচালনা ও উইসিডি গ্রুপের পরিচালক মাহমুদা অনির সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, জুয়েল, প্রশিক্ষক জাহানারা খাতুন টগর ও আল রোমেজ রাজন প্রমুখ। পুনাক শিক্ষিত বেকার নারীদের হস্ত শিল্প, ব্লক-বাটিক, হ্যান্ড পেইন্ট, সুচী শিল্প ও পোষাক শিল্পের বিভিন্ন ট্রেডে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদানের আয়োজন করে। এ প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকারীকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন উপহার দেওয়া হয়। এছাড়াও, প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়। ১৫ দিনের এ প্রশিক্ষণে প্রথম হয়েছেন সায়েদাতুন নেসা, দ্বিতীয় তামান্না সুলতানা ও তৃতীয় হয়েছেন নাসরিন সুলতানা।