
আলমডাঙ্গা অফিস: গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকাল ১১ টায় ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল পরিদর্শন করেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রায় ৩০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে সরাসরি সাক্ষাত করেন। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবারসহ সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা হাপানিয়া গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ৪০ থেকে ৫০ টি কাটা আধা-পাকা বাড়ির টিনের চাল উড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ঘুর্ণিঝড়ের ঘটনা ঘটে। ঘুর্ণিঝড়ে বাড়ি ছাড়াও শত শত গাছ, গাছের ডালপাল, পানের বরজ, পাটগাছ, ঝালের জমি, বাশের ঝাড় উল্টে যায়। ঘুর্ণিঝড়ের ঝাপটায় অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। ঝড়ের পর পরই চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে দাড়ান এবং তাদের সাহায্যের জন্য উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঘুণিঝড়ের সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও মেয়ে রজনী খাতুন গুরুতর আহত হয়। চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে সংবাদ পেয়ে গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান ও জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।