বিশ্ব প্রতিবেদন: অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তাঁর ছেলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ। দেশটির গণমাধ্যম ডন জানায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এফআইএ) শনিবার লাহোরের বিশেষ আদালতকে জানিয়েছে, ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপির অর্থ পাচার মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল সংস্থাটি। এফআইএ’র কৌঁসুলি বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাঁদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা দরকার কি না, আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিশেষ আদালত-১-এর প্রধান বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান জানতে চান, এফআইএ বাপ-বেটা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে চায় কি না। এর জবাবে কাউন্সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। আদালত আজ (গতকাল শনিবার) অপর সন্দেহভাজন সুলেমান শেহবাজ, তাহির নকভি এবং মালিক মাকসুদের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তার পরোয়ারা জারি করেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং তাঁর ছেলে হামজার অন্তর্র্বতীকালীন জামিন গত শুনানির সময়ই ৪ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। তবে তাঁরা আজ শুনানির সময় এজলাশে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। শুনানি শুরু হওয়ার সময় পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর আইনজীবী আমজাদ পারভেজ আদালতে বলেন, অভিযোগের সপক্ষে বাস্তব প্রমাণ নেই। এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দলের নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে এ বিষয়ে লাহোরের বিশেষ আদালতে শাহবাজ, তাঁর দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ।