গোয়ালবাড়ি থেকে নারীর গলিত লাশ উদ্ধার ৯ দিন ধরে নিখোঁজ লক্ষীপুরের গৃহবধূর স্বামীপক্ষের গাঢাকা
- আপলোড টাইম : ১০:৩২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার বারাদী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামে নদী থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এই গলিত লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। নারীর গলিত লাশ উদ্ধারের পর এলাকায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। উদ্ধার হওয়া লাশটি ৯দিন ধরে নিখোঁজ লক্ষীপুরের গৃহবধূ লক্ষিরাণীর বলে ধারণা করছে অনেকে। আবার, নিজেদের লাশ দাবী করে সনাক্তের জন্য মেহেরপুর থেকে লোকজন আসছে বলে থানার ওসিকে মোবাইলফোনে জানানো হয়েছে। অপরদিকে, অজ্ঞাত গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর থেকেই আলমডাঙ্গার লক্ষীপুরের নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গা’ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মমকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে গোয়ালবাড়ি গ্রামের দুই কৃষক গরু রাখার সময় মাথাভাঙ্গা নদীতে এক নারীর লাশ দেখে গ্রামের লোকের খবর দেয়। গ্রামবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। ওই নারীর পা দঁড়ি দিয়ে বাঁশের খুটির সাথে বাঁধা অবস্থায় ছিলো। ফলে, তার শরীর ফুলে ফেপে পানির ওপরে উঠে এসেছে। এলাকাবাসী জানায়, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের স্বর্গীয় যতিশ চন্দ্র বৈরাগির ছেলে শ্রী দুখী রামের স্ত্রী লক্ষীরাণী দীর্ঘ ৯ দিন ধরে নিখোজ রয়েছে। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সে বাড়ি থেকে চলে যায়। গতকাল মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঠিক তার অদূরেই বালি উত্তোলনের কাজ করছিলো শ্রী দুখী রাম। সেকারনে অনেকেই ধারণা করছেন উদ্ধার হওয়া লাশটি দুখী রামের স্ত্রী লক্ষ্মীরাণীর। এঘটনার পর থেকেই দুখী রামসহ তার পরিবার গাঢাকা দিয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ আরও দানা বেঁধেছে। অপরদিকে, নিজের মেয়ের লাশ হতে পারে দাবী করে আলমডাঙ্গা থানার ওসির কাছে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেন মেহেরপুরের এক ব্যাক্তি। লাশ সনাক্তের জন্য মেহেরপুর থেকে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি আকরাম হোসেন।