সমীকরণ প্রতিবেদন: তুমব্রুর পর এবার টেকনাফ সীমান্তেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এই গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ৪০০ পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল সকাল থেকে তারা গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। এ বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, দুই দিন ধরে গোলাগুলির শব্দ আসছে। ফলে খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ৪০০ মানুষের তালিকা তৈরি করেছি। তাদের খোঁজ রাখছি। পরিস্থিতি বুঝে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, গতকাল সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাফ নদের তীরে খুব গোলাগুলি হচ্ছে। তুমব্রু সীমান্তে মর্টার শেল ও গোলাগুলির ঘটনায় এই সীমান্তের বাসিন্দা হিসেবে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু এখন এই সীমান্তেও গোলাগুলির কারণে ভয় আরও বেড়ে গেছে। সীমান্তের কাছে বসবাসকারী মো. তাহের বলেন, ‘গোলাগুলির বিকট শব্দে এপারের লোকজন আতঙ্কের মধ্য রয়েছেন। হোয়াইক্যংয়ের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২ হাজার মানুষ ভয়ের মধ্য রয়েছেন।’
তমব্রুর পরিস্থিতি শান্ত :
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে গতকাল দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয় যায়নি। ঘুমধুম ইউপি সদস্য মো. আলম বলেন, ‘গোলাগুলির শব্দ একটু কমেছে। যদিও সীমান্তের মানুষের মাঝে এখনো আতঙ্ক রয়েছে।’