আওয়াল হোসেন, দর্শনা অফিস: গাড়লের চাষ করে গোলম হোসেন এখন সাবলম্বী। দর্শনা পৌরসভা এলাকার ৫নং ওর্য়াডের পরানপুর গ্রামের কাল মন্ডলের ছেলে গত ৪ বছর আগে ৮হাজার টাকা দিলে দুইটি গাড়ল (ভেড়া) ক্রয় করে। এরপর সে ভেড়া দুইটি লালন পালন করে বর্তমানে ৫৫টি ভেড়া আছে। এর মধ্যে ২০টি ধাড়ী গাড়ল ভেড়া। দুইটি মেড়া রয়েছে। এছাড়া বাচ্চাসহ বিভিন্ন বয়সের ৩৩টি গাড়ল আছে। গোলম হোসেন জানান, গত দুই বছর ধরে দিন মুজুরী ছেড়ে সারাদিন মাঠে মাঠে গাড়ল চরিয়ে বেড়াই। গাড়ল এখন আমার ছেলে-মেয়ে বাবাসহ ৬জনের সংসারের উর্পাজনের একমাত্র অবলম্বন। গাড়ল বিক্রী করে একটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। আমি এখন আর দিন মুজুরী করি না। এ গাড়ল বিক্রী করে আমার সংসার চলে। এ গাড়ল প্রতি বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিটি গাড়লের ১৫/২০ দিনের বাচ্চা ৫হাজার টাকা মূল্যে বিক্রী হয়। গত ৪/৫দিন আগে ব্যাপারীদের কাছে ৩টি বাচ্ছা ১৫ হাজার টাকায় বিক্রী করে সংসারে কাজে লাগাইছি। যখন সংসারে টাকার প্রয়োজন হয়। তখন গাড়ল বিক্রী করি। আমার গাড়লের মধ্যে দুইটি মেড়া আছে। যার মুল্যে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা আমার মেড়া দুইটি দাম করে গেছে, আমি বিক্রী করিনি। এ গাড়ল চাষ করে আমার সংসার ভাল ভাবে চলে যাচ্ছ। আমার এখন আর দিন মুজুরী করতে হয় না। এতেই সংসারের সকলের পোষাক আসাকসহ চলাচলের সবকিছু হয়। তবে প্রতি দিন মাঠে মাঠে গাড়ল চরাতে গিয়ে কোথাও যাওয়া হয় না। সকালে এ গাড়লের পাল নিয়ে মাঠে মাঠে চরাতে হয়। এতে করে আলাদা খাবার দিতে হয় না। ফলে সারদিন রোদ বৃষ্টিতে মাঠে মাঠে থাকতে হয়। মাঠে খুব কষ্ট হয়। তার পরও নিজের স্বাধীন পরের বাড়ি কিম্বা মাঠে দিন মুজুরী খাটতে হয় না। বর্তমানে আমার সংসার ভালই চলছে। আমি আমার মত করে চলছি। দিন মুজুরীর চেয়ে এখন আমি অনেক ভাল আছি।