ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীর সব ধর্মেই গালমন্দ করা অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ। মুনাফিক ব্যক্তিই অন্যের সঙ্গে কলহ-বিবাদে লিপ্ত হলে মুখ খারাপ করে এবং অবলীলায় অশ্রাব্য গালমন্দ শুরু করে দেয়। যাপিত জীবনে কত রকম মানুষের সঙ্গেই মেলামেশা ও লেনদেন করতে হয়। এতে কখনো কখনো মতের অমিল দেখা দেয় এবং মাঝে মধ্যে তা কলহ-বিবাদ পর্যন্ত গড়ায়। যাপিত জীবনে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু একজন প্রকৃত মুমিন কোনো অবস্থাতেই মুখ খারাপ করতে পারেন না। সবসময় তিনি নিজ ভদ্রতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। দৃষ্টিভঙ্গিগত মতভেদ হোক, চিন্তা-চেতনার অমিল হোক, রাজনৈতিক কিংবা ব্যবসায়িক বিরোধ হোক, কোনো অবস্থাতেই একজন মুমিন তার মুখ দিয়ে মন্দ বাক্য উচ্চারণ করবেন না। হাদিস শরিফে আল্লাহর রাসুল (সা.) মুসলমানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তিকে মুসলমান বলা হয়, যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ তাই কখনোই মুখ দ্বারা এমন আচরণ করা যাবে না যার দ্বারা মানুষ কষ্ট পায়। হাদিসের দৃষ্টিতে এরূপ করাটা মুনাফিকের আলামত। মুনাফিক একটি নিকৃষ্ট শব্দ। আমাদের সমাজে কিছু মুসলমান রয়েছেন যারা নামে ইসলামকে ব্যবহার করেন কিন্তু কাজে নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আমলেও এ ধরনের মুসলমান ছিল। তাদের কারণে তখনো মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছিল। মুনাফিকরা মানুষের সামনে এক ধরনের এবং পেছনে আরেক ধরনের আচরণ করে থাকে।