গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মালশাদহ গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় চম্পা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তাঁর স্বামী। তবে এ হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। নিহত চম্পা খাতুন গাংনী পৌরসভার মালশাদহ গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার জুয়েল হোসেনের (৩০) স্ত্রী। জুয়েল হোসেন বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (জরুরি বিভাগে কর্মরত) চিকিৎসক তরুরাজ জানান, চম্পা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর গলায় ও কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর স্বামীর জুয়েলের শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের স্বামী জুয়েল হোসেন দাবি করেছেন, ‘বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে একদল দুঃস্কৃতিকারী আমার বাড়িতে এসে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমি তাদের ঠেকাতে গেলে আমাকেও কুপিয়ে আহত করে দুঃস্কৃতিকারীরা।’ গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।
