
গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী খাদ্য গুদামে গম ক্রয়ে প্রকৃত কৃষকের নামের কার্ড কেরে, কারোর অল্প কিছু টাকা দেবার কথা বলে চেয়ে আবার কারোর গম ক্রয় করা হবে বলে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে কার্ড গুলো সিন্ডিকেটের লোকজন নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গম গুদাম জাত করা ও কৃষকের নামে ভুয়া একাউন্ট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে গম সিন্ডিকেটের হোতারা। সিন্ডিকেটের লোকজন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নি¤œ মানের গম অল্প দামে ক্রয় করে সরকারী ভাবে বেশি দামে গম বিক্রি করে খাদ্য গুদামে। এবিষয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ওসি এলএসডি ও উপজেলা খাদ্য নিয়র্ন্তকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালায় অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। দুর্নীতি অনিয়মের তদন্তে এসে বেরিয়ে আসে এঘটনায় জরিত আরো অনেকের নাম। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি টাকা দুর্নীতির সাথে জরিতরা হলেন উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ওসি এলএসডি নজরুল ইসলাম, গাংনী সোনালী ব্যাংকের বাজার শাখার ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়র্ন্তক আয়েশা খাতুন ও গম সিন্ডিকেটের হোতা সাইফুজামান শিপু। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংকের বাজার শাখা ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম ও গাংনী গম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গার সময়ের সমিকরনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় রির্পোট প্রকাশ হয় সেই সময়। সেই সময়ে ভুক্তভোগি কৃষক বাদিয়াপাড়া গ্রামের আলফাজ উদ্দীনসহ অনেকে খাদ্য মন্ত্রালায়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রালায় প্রকৃত ঘটনা তদন্তে খুলনা খাদ্য অধিদপ্তর কে নির্দেশ দেন। খুলনা খাদ্য অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা ও মেহেরপুর ডিসি ফুডকে সঠিক ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেন। তার আলোকে চুয়াডাঙ্গা ডিসি ফুড আব্দুল ওয়াহেদ গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী খাদ্য গুদামে তদন্ত করতে আসেন। এসময় অভিযোগ কারী আলফাজ উদ্দীনসহ এঘটনায় প্রথম থেকে প্রতিবাদ করে আসা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনসহ ভুক্তভোগি অনেক কৃষক দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে বিভিন্ন যুক্তি তথ্য ও প্রমাণ তুলে ধরেন। তদন্ত কারী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদের নিকট। এসময় উপস্থিত সকল জনগনের সামনে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ওসি এলএসডি নজরুল ইসলাম বলেন, এখানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গম ক্রয় হয়েছে এটা সবাই জানে। আর ভুয়া একাউন্টে যে টাকা তোলার কথা সেটা তো ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামও জরিত। এব্যাপারে গাংনী সোনালী ব্যাংকের বাজার শাখার ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এ দুনীর্তির সাথে খাদ্য গুদাম জরিত তারা আমার নিকট কৃষি কার্ডে ভুয়া স্বাক্ষর করে দিলে আমি কি করব। নিজের দোষ স্বীকার করে এ দুনীর্তির সাথে রাঘব বোয়াল জরিত আছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা ডিসি ফুড আব্দুল ওয়াহেদ জানান, গাংনী খাদ্য গুদামে গম ক্রয়ে প্রকৃত কৃষকের নামের কার্ড কেরে, কারোর অল্প কিছু টাকা দেবার কথা বলে চেয়ে আবার কারোর গম ক্রয় করা হবে বলে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে কার্ড গুলো সিন্ডিকেটের লোকজন নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গম গুদাম জাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে গম সিন্ডিকেটের হোতারা। সিন্ডিকেটের লোকজন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট অল্প দামে গম ক্রয় করে সরকারী ভাবে বেশি দামে গম বিক্রি করে খাদ্য গুদামে। এছাড়াও অনেকের নিকট গম ক্রয় করে টাকা গম সিন্ডিকেট পকটস্ত করেছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে আমি এ দুর্নীতি অনিয়মের তদন্ত করতে এসেছি। এখানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি টাকা দুর্নীতির সাথে জরিত হিসেবে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ওসি এলএসডি নজরুল ইসলাম, গাংনী সোনালী ব্যাংকের বাজার শাখার ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়র্ন্তক আয়েশা খাতুন ও গম সিন্ডিকেটের হোতা সাইফুজামান শিপু। আমি কিছু তদন্ত করেছি আরো অনেক বাকি আছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পযর্ন্ত কারা অপরাধী আর কারা অপরাধী না কিছু বলতে পারছিনা। এদিকে দুর্নীতি তদন্তে এসে আরেক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পরে। উপজেলার প্রকৃত মিলারের নিকট থেকে চাউল সংগ্রহ করার কথা থাকলেও তারা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাউল সংগ্রহ করছে। এঘটনায় তোপের মুখে পরেন উপজেলা খাদ্য নিয়র্ন্তক আয়েশা খাতুন। এ ব্যাপারেও খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তদন্ত কারী কর্মকর্তা ডিসি ফুড আব্দুল ওয়াহেদ।