সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। এর জেরে গতকাল সোমবার আবার সংঘর্ষ হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। বিষয়টি মীমাংসা করতে আজ মঙ্গলবার দুপক্ষকে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার ধানখেতে সেচ দেওয়ার সময় পাইপ ফেটে চিত্রা নদীর তীরে বালুর ঢিবির রাস্তায় পড়ে ট্রাক্টর চলাচলের অসুবিধা হওয়ায় জমি মালিকের ছেলে রফিকুল ইসলামকে (২৫) পিটিয়ে আহত করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পরে মেশিন ভাঙতে গেলে ছুটে আসেন রফিকুলের বাবা বাতেন মিয়া (৫৫)। এ সময় তাকেও মারধর করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিকেলে মীমাংসা করা হয়।
এদিকে গতকাল সকালে বাতেন পূর্বের ঘটনার জেরে হামলাকারীদের না পেয়ে গড়াইটুপি মোড়ের আমিনুলের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই পক্ষের কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাতেনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ।
এ বিষয়ে বাতেন বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন আমার জমির পাশে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে। পাশেই আমার ধানের জমি। সেই জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বালু তোলার রাস্তা কিছুটা ভিজে গেছে। এ কারণে মাস্তান বাহিনী আমাকেসহ ছেলেকে মারধর করে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে।’ এদিকে আমিনুল বলেন, ‘আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তারপরও আমার ওপর হামলা করেছে বাতেন।’
জানতে চাইলে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষই অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় আমাদের তদন্ত চলছে।’ এদিকে স্থানীয় নেতারা জানান, মীমাংসার জন্য আজ মঙ্গলবার দুপক্ষের সবাইকে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। সকাল ১০টা স্থানীয় নেতারা বিষয়টি মীমাংসা করবেন।