প্রতিবেদক, তিতুদহ:
চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক নিয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে অত্র বিদ্যালয় পরিচালনাকারী চার সদস্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবর সচিবালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। এর আগে দুদক মহাপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একই অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে বলে অত্র বিদ্যালয় পরিচালনাকারী চার সদস্য জানান।
প্রধান অভিযোগকারী বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য আশাদুল হক রোকন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের অর্থ গোপনে তছরুপ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেন, এর আগে যারা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা হয়ত ভয়ে কিছু বলতে পারেননি এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অন্য অভিযোগকারী বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম, সাজলী খাতুন ও দাতা সদস্য তাহমিনা খাতুন।
অভিযোগলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়োগকৃত অভ্যন্তরীণ হিসাব-নিরীক্ষণ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালের জানুয়ারি হতে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট আয় ও ব্যয়ের হিসেব অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অথবা বিদ্যালয়ের ক্যাশে ৩ লাখ ১০ হাজার ৩ শ আট টাকা থাকার কথা। কিন্তু ক্যাশে টাকা নেই। এ ছাড়া ২০১৭ সালের পহেলা জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় ও ব্যয়ের ভাউছার অডিট কমিটির নিকট দাখিল করতে পারেননি। যার আয় ছিল ৬০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৯ টাকা ও ব্যয় ছিল ৬০ লাখ ৬৮ হাজার ৮২২ টাকা এবং ১০৩ নম্বর ভাউছার ২০১৯ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই-দুইবার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে এক সদস্যকে ১৭ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয় এবং ঐ টাকা ফেরত পেলেও সেটার সঠিক হিসাবসহ এ বছর বিদ্যালয়ের কোচিং বাবদ আদায়কৃত ৩১ হাজার ৮৪০ টাকার কোনো হদিস নেই এবং ২০১৮-১৯ সালের ভাউসারগুলো ভাউছার পাশ কমিটির দ্বারা পাশ করেননি। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি হতে ৩০ জুন পর্যন্ত পাশকৃত ভাউছার টপ শিটে সন্যাসী কুমার পালের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের কোনো অর্থ নষ্ট বা আত্মসাৎ করিনি। এমনকি কোনো অনিয়ম করা বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। বিদ্যালয়ের সকল হিসাব সঠিকভাবে করা আছে।’
হোম আজকের পত্রিকা প্রথম পাতা খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ