শহর প্রতিবেদক: মেধাবী ছাত্রী শ্রাবণী দারিদ্রতাকে জয় করে পেয়েছে আকাশ ছোয়া এ সাফল্যে। আর এই সাফল্যে অভিাভাবকদের চিন্তায় ফেলেছে। অভাবের জ্বালা ভয়াবহ তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে শ্রাবণী খাতুন। টাকার অভাবে স্কুলে যেতে পারেনি দিনেরপর দিন। মাত্র একটি স্কুল পোষাকেই কেটে গেছে তিন বছর। টিউশনি পড়ার সামর্থ্য হয়নি শ্রাবণীর। না খেয়ে স্কুলে আসাই ছিলো নিত্যদিনের সঙ্গী। চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা গ্রামের হতদরিদ্র আসাবুল হক আসামের মেয়ে সদ্য এইচএসসি পাস করা শ্রাবণী কথা এতক্ষণ বলছিলাম। দিনমজুর আসামের ৩ সন্তানের মধ্যে শ্রাবণী মেজো। ছোট থেকে শ্রাবণী আর পাচটা মেয়ে থেকে আলাদা সবসময় পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। হতে চাই ম্যাজিস্ট্রেট। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা, জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় চান্স পেয়েছে শ্রাবণী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারছে না শুধুমাত্র টাকার জন্য। শ্রাবণী খাতুন প্রাথমিক ও ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়েছে এবং উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হয়েছে। শ্রাবণী খাতুন বলেন, আমার বাবা দিনমজুরের কাজ করে। বাবা আমার মনে সাহস যুগিয়েছেন। বাবা সবর্দা বলেন পড়াশুনাটা চালিয়ে যাও, শেষ পর্যন্ত নিশ্চয় কোন একটা ফলাফল হবে। শ্রাবণীর বাবা বলেন, সামান্য ২ কাঠার উপরে ভিটা বাড়ি টুকুও নাই। বাড়ীটা আমার একমাত্র সম্বল। আমার ছোট ছেলে জিসান গোকুলখালি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। আমি সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করতে চাই কিন্তু দিন মজুরের কাজ করে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। অদম্য মেধাবী ছাত্রী শ্রাবণীর স্বপ্ন পূরণে বাধা শুধূ দারিদ্রতা।