ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

কোরবানির ঈদ: ব্যস্ততা বেড়েছে জীবননগর কামারপাড়ায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদ-উল-আযহা অন্যতম। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ছে পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের। এ চাহিদা পূরণে ব্যস্ততা বেড়েছে জীবননগর উপজেলার কামারপাড়াগুলোয়। উপজেলার চাঁকা পট্টি, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, মহানগর মার্কেটে, নারায়ণপুর মোড়সহ উপজেলার শিয়ালমারী, হরিহরনগর, মনোহরপুর, আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে দেখা মিলছে এ ব্যস্ততার। জীবননগর বাজারে বটি, দা, ডাসা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করছেন এখানকার কামার শিল্পীরা। বিভিন্ন ধরনের টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামারপল্লীগুলো। ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কথা হলো জীবননগর শহরের কামার শিল্পী জহির উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, বছরের প্রায় সময়টা বসে থাকতে হয়। অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানিতে কাজের চাপ বেশি হয়ে থাকে এবং নতুন নতুন ছুরি, চাকু ও ডাসা বিক্রি বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি হওয়ায় তৈরিকৃত সরঞ্জাম বিক্রি বেশী হলেও লাভ কম হয়। একই কথা জানান বিশ্বজিৎ পাল। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। অন্য সময় তেমন কাজের চাপ থাকে না। কিন্তু কোরবানিতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী জিনিসপত্র তৈরী করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কথা হয় বেশ কিছু ক্রেতার সাথে তারা জানান, কামারদের কাছ থেকে তারা বছরজুড়ে সাংসারিক ও কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনে থাকেন। তবে কোরবানির সময় পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের চাহিদা বেশি থাকে। এসময় প্রচুর চাহিদার কারণে পছন্দমত সরঞ্জাম পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কোরবানির ঈদ: ব্যস্ততা বেড়েছে জীবননগর কামারপাড়ায়

আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৮

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদ-উল-আযহা অন্যতম। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ছে পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের। এ চাহিদা পূরণে ব্যস্ততা বেড়েছে জীবননগর উপজেলার কামারপাড়াগুলোয়। উপজেলার চাঁকা পট্টি, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, মহানগর মার্কেটে, নারায়ণপুর মোড়সহ উপজেলার শিয়ালমারী, হরিহরনগর, মনোহরপুর, আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে দেখা মিলছে এ ব্যস্ততার। জীবননগর বাজারে বটি, দা, ডাসা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করছেন এখানকার কামার শিল্পীরা। বিভিন্ন ধরনের টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামারপল্লীগুলো। ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কথা হলো জীবননগর শহরের কামার শিল্পী জহির উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, বছরের প্রায় সময়টা বসে থাকতে হয়। অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানিতে কাজের চাপ বেশি হয়ে থাকে এবং নতুন নতুন ছুরি, চাকু ও ডাসা বিক্রি বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি হওয়ায় তৈরিকৃত সরঞ্জাম বিক্রি বেশী হলেও লাভ কম হয়। একই কথা জানান বিশ্বজিৎ পাল। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। অন্য সময় তেমন কাজের চাপ থাকে না। কিন্তু কোরবানিতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী জিনিসপত্র তৈরী করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কথা হয় বেশ কিছু ক্রেতার সাথে তারা জানান, কামারদের কাছ থেকে তারা বছরজুড়ে সাংসারিক ও কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনে থাকেন। তবে কোরবানির সময় পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের চাহিদা বেশি থাকে। এসময় প্রচুর চাহিদার কারণে পছন্দমত সরঞ্জাম পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়।