কোটচাঁদপুর বলুহর বাওড় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে হ্যাচারীর উৎপাদিত পোনা মাছ বিক্রির অভিযোগ
- আপলোড টাইম : ১০:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৬
- / ৯৬৯ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর বাওড়ে ছাড়ার জন্য উৎপাদিত পোনা মাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বলুহর বাওড় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। গার্ডদের খরচ ও জাল টানার ব্যয় বহনে এ মাছ বিক্রি করা হয় দাবী ওই ম্যানেজারের। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। জানা যায়, কোটচাঁদপুর বলুহর বাওড়ে প্রতি বছর মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনা মাছ উৎপাদনের জন্য হ্যাচারীর ৫ টি পুকুর বরাদ্ধ রয়েছে। এ ছাড়া হ্যাচারীর বাকী পুকুর গুলোও ব্যবহার করা পোনা উৎপাদনে। আর যা এলাকার পুকুর, ডোবা,বিলের পোনা মাছের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, প্রতি বছর হ্যাচারীর ৫ টি পুকুর থেকে উৎপাদিত ৩৫ টন মাছের পোনা ছাড়ার কথা।এর বিপরীতে ছাড়া হয় ১৫/২০ টন মাছ। যা বাওড়ের উৎপাদন ব্যহত করে। যার ফলে প্রতি বছর বাওড়ের টার্গেট পূরন করা সম্ভব হয় না। তিনি আরও বলেন এর আগে যে সব বাওড় ম্যানেজার এ অফিসে চাকুরী করেছেন তারা কেউ মাছের পোনা বিক্রি করেনি। বর্তমান বাওড় ম্যানেজার কে এম সিদ্দিকুজ্জামান এ অফিসে যোগ দানের পর থেকে বেপরোয়া ভাবে উৎপাদিত পোনা মাছ বিক্রি করে আসছে। যা দেখার কেউ নেই। আর এ কারনে গেল অর্থ বছরে বলুহর বাওড়ের টার্গেট পূরন হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে। এ দিকে বাওড় ম্যানেজারের পোনা মাছ বিক্রির ধারাবাহিকতায় গেল ৩০ সেপ্টেম্বর দুই হাড়ি পোনা মাছ বিক্রি করা হয় মহেশপুরের খালিশপুর নির্মলের আড়তে। আর ওই মাছ বহন করে নেয়া হয় বাওড়ের পিকাপ ভ্যানে। যার ড্রাইভার ছিল আমির হোসেন বাবু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা বাওড় ম্যানেজার সিদ্দিক সাহেব বিক্রি করতে পাঠিয়ে ছিল। এর বিস্তারিত জানতে আপনি জাকারিয়ার সঙ্গে কথা বলেন, তিনি ভাল বলতে পারবেন। মোবাইলের সুইচ অফ থাকায় জাকারিয়া হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কথা হয় খালিশপুরের আড়ৎদার নির্মলের সঙ্গে তিনি বলেন, ওই সময় আমি আড়তে ছিলাম না। তবে শুনেছি জাকারিয়া পিকাপ ভ্যানে করে দুই হাড়ি মাছ নিয়ে এসেছিল। যা বাজার মূল্যে ৭৪/৭৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। তবে চালান কার নামে করা হয়েছে তা আমি বলতে পারব না। এ ব্যাপারে কথা হয় বলুহর বাওড় ম্যানেজার কে এম সিদ্দিকুজ্জামানের সঙ্গে, তিনি বলেন জাল টানা ও গার্ডদের ব্যয়ের জন্য ২০/২৫ কেজি মাছ বিক্রি করা হয়। বিষয়টি তিনি প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে স্বীকার করেন দুই হাড়ি মাছ বিক্রির ৪১শত টাকার কথা। এ মাছ বিক্রি করা নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন এ মাছের টাকা ট্রেজারীতে জমা দেয়া হবে। কথা হয় উপজেলা নিবার্হী অফিসার আশাফুর রহমানের সঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার একটু কম জানা আছে। এটার বিস্তারিত জানতে জেলা মৎস্য অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।